।। অভীক কুমার
দে ।।
(C)Image:ছবি |
বাবা,
শুনেছি, তুমি এখন পুরোপুরি বদলে গেছো।
আমি যখন ছোট ছিলাম, রোজ দেখতাম--
অনেক রাত করেই বাড়ি ফিরতে।
তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুচোখে ঘুম ঘনিয়ে আসতো,
মা তখনও রান্নাঘরে, একা
বাতির আগুনে পোকাদের আত্মহত্যা দেখছে।
ফাঁকা উঠোনে সাইকেল পড়া শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলে
মা'র মুখে শুনতাম-- 'আরেকটা পোকা আত্মঘাতী হলো।'
মায়ের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো--
বাতির আলো কেঁপে উঠছে চোখে,
লালচে মুখে মেঘলা আকাশ,
নাটকের প্রথম দৃশ্য শেষ হলে পর্দায় জড়িয়ে যাওয়া মঞ্চ যেমন...
এই নারী আমার চেনা নয়।
শুনেছি, তুমি এখন পুরোপুরি বদলে গেছো।
আমি যখন ছোট ছিলাম, রোজ দেখতাম--
অনেক রাত করেই বাড়ি ফিরতে।
তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে দুচোখে ঘুম ঘনিয়ে আসতো,
মা তখনও রান্নাঘরে, একা
বাতির আগুনে পোকাদের আত্মহত্যা দেখছে।
ফাঁকা উঠোনে সাইকেল পড়া শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলে
মা'র মুখে শুনতাম-- 'আরেকটা পোকা আত্মঘাতী হলো।'
মায়ের মুখের দিকে তাকালে মনে হতো--
বাতির আলো কেঁপে উঠছে চোখে,
লালচে মুখে মেঘলা আকাশ,
নাটকের প্রথম দৃশ্য শেষ হলে পর্দায় জড়িয়ে যাওয়া মঞ্চ যেমন...
এই নারী আমার চেনা নয়।
বাবা, তুমি
ট্রেনযাত্রীর মতোই দুলতে দুলতে ঘরে ঢুকতে,
ঢুকেই কী সব নোংরা গালি !
অকারণেই মাকে মারতে।
অসহায় আমি দরজার আড়ালে লুকিয়েছি কত...
নীরবে মার খাওয়া মা'র দুচোখ ভরে উঠলে
নিঃশব্দ নোনাজল রাতের গায়ে অসংখ্য লুকোনো নদী
নাড়িপথ ধরে হেঁটে গেছে কালোয়।
আমি দেখেছি সেসব রাতের ভেতর, বাইরে;
অথচ পরদিন সকালেই তুমিও সব ভুলে যেতে, মা- ও !
আমি শুধু রহস্যে ডোবা নির্বাক গবেষক।
ঢুকেই কী সব নোংরা গালি !
অকারণেই মাকে মারতে।
অসহায় আমি দরজার আড়ালে লুকিয়েছি কত...
নীরবে মার খাওয়া মা'র দুচোখ ভরে উঠলে
নিঃশব্দ নোনাজল রাতের গায়ে অসংখ্য লুকোনো নদী
নাড়িপথ ধরে হেঁটে গেছে কালোয়।
আমি দেখেছি সেসব রাতের ভেতর, বাইরে;
অথচ পরদিন সকালেই তুমিও সব ভুলে যেতে, মা- ও !
আমি শুধু রহস্যে ডোবা নির্বাক গবেষক।
জানো
বাবা,
আমিও এখন মায়ের মতোই
বাতির আগুনে পোকাদের আত্মহত্যা দেখি।
এখন আমার কাছে কোনোকিছুই রহস্য নয়,
আগুনের নীল হৃদয়ে মায়ের মুখটাই ভেসে ওঠে।
নীল হৃদয়ের চারদিকে জ্বলজ্বলে স্মৃতিগুলো
প্রতিদিন তাজা হয়, দেখি--
বৃষ্টিরাত, তুমিও বাড়ি আসোনি,
মা খুব অসুস্থ, কাশি থামছে না, আমি বুক ডলে দিচ্ছি ঘন।
একটু পরে মা আর কাশছে না, বুকের শব্দও গেছে থেমে !
কাঁদতে কাঁদতে বৃষ্টিভিজেই ডাক্তারদাদুকে নিয়ে এলাম,
মাকে নেড়েচেড়ে বললেন--
'ভেতর- ক্ষত ভালো হয়ে গেছে রে বোন, তোর মা এখন থেকে সুস্থ, আর শব্দ হবে না।'
বাতির আগুনে পোকাদের আত্মহত্যা দেখি।
এখন আমার কাছে কোনোকিছুই রহস্য নয়,
আগুনের নীল হৃদয়ে মায়ের মুখটাই ভেসে ওঠে।
নীল হৃদয়ের চারদিকে জ্বলজ্বলে স্মৃতিগুলো
প্রতিদিন তাজা হয়, দেখি--
বৃষ্টিরাত, তুমিও বাড়ি আসোনি,
মা খুব অসুস্থ, কাশি থামছে না, আমি বুক ডলে দিচ্ছি ঘন।
একটু পরে মা আর কাশছে না, বুকের শব্দও গেছে থেমে !
কাঁদতে কাঁদতে বৃষ্টিভিজেই ডাক্তারদাদুকে নিয়ে এলাম,
মাকে নেড়েচেড়ে বললেন--
'ভেতর- ক্ষত ভালো হয়ে গেছে রে বোন, তোর মা এখন থেকে সুস্থ, আর শব্দ হবে না।'
জানো
বাবা,
সাইকেল পড়া শব্দ এখন আমার উঠোনেও,
আমার দুচোখেও কেঁপে ওঠে বাতির আলো,
সে আলোয় মা হবার স্বপ্নটাকেই হত্যা করেছি নিজে, কারণ--
আজকাল আমারও খুব কাশি, থামতেই চায় না !
দুচোখের কোল কালো হয়ে গেছে,
মা'র মতো লালচে মুখে মেঘলা আকাশ নয়
নীলচে মুখে মেঘলা আকাশ
মনে হয় প্রচুর বৃষ্টি হবে।
সে রাতে তুমি বাড়ি আসতে পারোনি,
এখন তো পুরোপুরি বদলে গেছো,
এবার বৃষ্টি হলে শেষবেলা দেখে যেও বাবা।
আমার দুচোখেও কেঁপে ওঠে বাতির আলো,
সে আলোয় মা হবার স্বপ্নটাকেই হত্যা করেছি নিজে, কারণ--
আজকাল আমারও খুব কাশি, থামতেই চায় না !
দুচোখের কোল কালো হয়ে গেছে,
মা'র মতো লালচে মুখে মেঘলা আকাশ নয়
নীলচে মুখে মেঘলা আকাশ
মনে হয় প্রচুর বৃষ্টি হবে।
সে রাতে তুমি বাড়ি আসতে পারোনি,
এখন তো পুরোপুরি বদলে গেছো,
এবার বৃষ্টি হলে শেষবেলা দেখে যেও বাবা।
ইতি-
তোমার একমাত্র মেয়ে
নাড়িকা।
তোমার একমাত্র মেয়ে
নাড়িকা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন