।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।।
অবিশ্রান্ত বর্ষণসিক্ত এক সন্ধ্যায় গত ২রা জুলাই মার্ঘেরিটার শ্রী শ্রী রামঠাকুর
মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উজান সাহিত্য গোষ্ঠী, তিনসুকিয়া আয়োজিত সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠান- ‘উজানের গ্রীষ্মবাসর’। স্থানীয় সংস্কৃতিপ্রেমী কয়েকজন ব্যক্তির ব্যবস্থাপনায়
আয়োজিত এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান যথেষ্ট সাড়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয় বর্তমানে বাংলা সাহিত্য
সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেকটাই স্তিমিত মার্ঘেরিটা অঞ্চলে।
অনুষ্ঠানের শুরু হয় উজান সাহিত্য গোষ্ঠীর উদ্বোধনী সঙ্গীত – “শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয়
গান –“ দিয়ে। এরপর স্বাগত ভাষণ প্রদান
করেন গোষ্ঠীর সভাপতি সুজয় রায়। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও চর্চার
প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সবিতা দেবনাথ ও মাধুরী ভট্টাচার্য। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঋত্বিকা
মজুমদার, বিনায়ক সেনগুপ্ত, ডঃ তুহিনা ভট্টাচার্য, শীলা দে সরকার, অচিন্ত্য দেব, মিতালি মালাকার, বর্ণালি সেনগুপ্ত, শ্রেয়সী চ্যাটার্জি, কুমকুম ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সরকার ও দেবদুলাল গোস্বামী।
নৃত্য পরিবেশন করে শিশু শিল্পী মৌবনী মজুমদার।মাঝে একটি কবিতা আবৃত্তি সহ বাংলা সাহিত্যের হাল হকিকত নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিন্তু মূল্যবান
বক্তব্য রাখেন চাবুয়া কলেজের বাংলার বিভাগীয় অধ্যাপিকা তথা গোষ্ঠীর সদস্যা সান্ত্বনা
দেব সেনচৌধুরী।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘অভিনন্দন জ্ঞাপন’ পর্ব। গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে গামছা, স্মারক ও বাংলা বই উপহার দিয়ে অভিনন্দিত করা হয় মার্ঘেরিটা
অঞ্চলে মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত কিশোর ঋষভ বিশ্বাস এবং অশীতিপর মৃদঙ্গবাদক
কনক আচার্যকে।
প্রতিটি গানের সঙ্গে তবলা সঙ্গত ও সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
তিনসুকিয়া শহরের বাইরে এমন মনোগ্রাহী এবং যথার্থ অনুষ্ঠান আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা
করেন উপস্থিত শ্রোতা দর্শকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন