“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭

আদুরে সন্তান

             ।।জাকারিয়া ইছলাম।।

ছবি-গুগল ডট কম থেকে

















মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে হইল একটু বড়,
মায়ের পেটে লাথি মেরে কয় আমায় বের কর।
ভূমিষ্ঠ হয়ে চিৎকার মারে...চায় সে অধিকার,
ধরণী-ঘরনি-মায়ের দুগ্ধ তার না কি দরকার।
দখল করল খাঠ পালঙ্ক আর মায়ের কোল,
দুগ্ধ ছাই...চিৎকারে কয় বুকের জামা খোল।
দুগ্ধ খেয়ে মায়ের বুকের...পেশাব করে গিয়ে,
পায়খানাতে বিছানা ভরায়...চাকরানী সেই মায়ে।
মায়ের ঘুম হারাম করে...পেশাব পায়খানায়,
ক্ষুধা পেলে মাকে বলে দুধ দে-রে মা আমায়।
একটু বড় হলে সে চায় শিক্ষার অধিকার,
পাঠশালাতে যাবে সে করে টাকার আবদার।
লেখা পড়া করবে তাই...ভাল পোশাক চাই,
একটু খানি দেরি হলে লাথিমারে ভাতের থালায়।
সাবালক হলে বলে সে সুন্দর বউ চাই,
বউ থাকবে ঘরে আমার খাট কেন নাই।
বউ পেয়ে এই পুত্র ঘুমায় নতুন খাটে,
বৃদ্ধ বাবাকে পাঠায় সে বাজার করতে হাটে।
বউকে নিয়ে গল্প করে চিত্তানন্দে ঘরে,
সংসারের সব কাজ কর্ম বৃদ্ধ মায়ে করে।
পান থেকে চুন খসলে পিতামাতা খায় লাথি,
বুকের ভিতর নিয়ে থাকে নতুন সেই সাথী।
বাবা-মায়ে পরে থাকে ছেড়া-ছেড়া পোশাক,
বউকে বলে নতুন নাও...পুরানো পোশাক থাক।
মাঘের শীতে বাঘ কান্দে...মা কান্দে ঘরে,
নতুন কম্বল বউ কে দিয়ে বাবা-মা কে বলে পরে,
পরে পরে করতে করতে শীত যায় চলে,
মা জননী দুঃখে কান্দে অন্তঃর চক্ষের জলে।
কার সম্পদ কে খায়...কে বা নাটের গুরু

এমন নীতি কে দিল...কোথায় থেকে হল শুরু?








কোন মন্তব্য নেই: