“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭

শিশুর আশা

                   
          ।।       রফিক উদ্দিন লস্কর      ।।

 
(C)Image:ছবি






















পূর্বদিকে সূর্য উঠে,পাখিরা গায় গান আপনমনে,
শুনে সেই সুর ঘুম ভাঙে মোর, থাকিয়া নির্জনে।
কিছু নাহি খাই,করি হোটেল সারাই,কপালগুণে,
দুঃখ ব্যথা,মোর কত কিছু কথা,কেহ নাহি শুনে।
হোটেলে করি কাজ, মাইনে পাই তিনবেলা ভাত,
পরবে মিলে মাত্র গেঞ্জি প্যান্ট,উনুনে কাটে রাত।
গরীব বলে কতো কথা শুনি, হয় যদি ভুল ত্রুটি,
খেতে দেয়না ভাত, ভাগ্যে মিলে বাসি এক রুটি।
ভীষণ খিদে, করি গড়াগড়ি আর সইতে না পারি,
ভেবে পাইনি কিছু, দশ আঙ্গুলে পেট খামচে ধরি।
অশ্রু নিয়ে মাটিতে পড়ি,আমি দেই শুধু গড়াগড়ি,
একটু ভাত দাও না বাবু! উঃ! ক্ষুধার জ্বালায় মরি।
এগারো বছর বয়স আমার, তাই স্বপ্ন বুনি হাজার,
চলে যেতে ঐ দূর পাঠশালায়,মন চায় যে আমার।
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখি,ছাত্রছাত্রীর আসা যাওয়া,
বদ্ধ খাঁচায় পক্ষী ছানা,গায়ে লাগেনি আজ হাওয়া।
মোর ইচ্ছে করে সব মানুষেরই আদর স্নেহ পেতে,
স্কুলে পড়ে শিক্ষিত আর বিবেকবান মানুষ হতে।।
________________________________________
০৪/০৭/২০১৭ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: