“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০১৭

নিষ্ফল কথন

।। শিবানী ভট্টাচার্য দে ।।
(C)Image:ছবি




















হুতল বাড়িগুলো একফালি আকাশ ছেড়েছে।
তাই বেয়ে কোনোক্রমে উঠে এসে মাথার উপরে
এইসব জ্যোৎস্না মাখা কথা আজও বলো, ফিকে চাঁদ ?

উজ্জ্বল তারারা সব চলে গেছে গত জন্ম পারে,
আজ রাস্তায় রাস্তায় রংবেরঙের এলিডির
উৎসব চমক, ফ্লাড লাইট, হেড লাইট,
আলোর বন্যায় ভাসা রাত।

বহুদিন যে বাতাস পরশ বুলিয়ে দিত গায়
সহস্র দহন নিয়ে বেরিয়ে আসে এসির গ্রিল থেকে।
শুকনো ডালে দুএকটি পাখি নিদ্রাহীন
ভাঙ্গাসুরে ডেকে ওঠে যেকোনো সময়।
 দিনের কখন শুরু,কখনই বা শেষ, বড় ধাঁধা তার ।

ঘাড় গুঁজে থাকা এক প্রজন্মের কাছে তুমি নেই,
শিশু ও ডাকেনা আর টি দিয়ে যা।
প্রতিবিম্ব হারা এই পৃথিবী এখন
ধুলোকালি রক্ত মেখে জেগে বসে থাকে রাতদিন।

কপোত কপোতী ফেরে বিশ্ববাজারের পথেপথে
বাজারে বিকোয় মাতৃগর্ভ, পিতৃবীজ, শীতল পরশ।
শুষ্ক চোখ রাতজাগা, তবুও আকাশ -অন্ধ কাছে
এইসব জ্যোৎস্না মাখা নিষ্ফল কথন
কেন আজো বলে যাও , ফিকে চাঁদ?




কোন মন্তব্য নেই: