“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

সুন্দরবন


।। চিরশ্রী দেবনাথ ।। 
(C)Image:ছবি













ন ম্যানগ্রোভের বন্যতা ছুঁয়ে সূর্যের আলো
নামছে শেলা নদীর বুকে
সকাল হচ্ছে সুন্দর বনের গহনে
আমাদের সাধের বোট জল কেটে কেটে
বন দেখছে, পরিযায়ী পাখি কিছু মনে হলো
ফিরে যেতে পারেনি, হয়তো ঠিকানা ভুলে গেছে, অথবা কারো  কারো জন্য অপেক্ষায় নেই কেউ,
ক্যামেরা বন্দী হচ্ছে শখের ছবি
গ্যালন গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ছে
এক নদীর বাহু ছুঁয়ে অন্য নদীতে
দম বন্ধ হয়ে যেন মৎসশিশু, নরম উদ্ভিদ
জননশৃঙ্খল থামিয়ে রুদ্ধশ্বাসে বিরল প্রজাতি, বিপন্ন সবুজ পাশবিক যৌনতা সব
অন্ধকারের বাসর জাগছে,
ডোরাকাটা পা ফেলে এসেছিলো সে
জলে মুখ দিয়ে ভয়ঙ্কর গর্জন,
তৃষ্ণার জলও যে আজ নেই তার,
ছবিতে উঠে গেলো সেই অসহায়তা,
ধূমায়িত কফির কাপে অরণ্যপ্রেম
প্রাণের ভাজা গন্ধে জারিত নেশা
হেসে বললে টুসু মেয়েটি বড় খরখরে
খর চোখ আমারও,
মধু তার কেড়েছে বন, শুকনো বুকে
তবু ভাদো গান, জেগে থাক বনবিবি,
ওলাইচণ্ডী,
বনমুরগির রোষ্টে সন্ধ্যার নষ্ট মাখন,
আকাশে উড়ন্ত ঈগল
তেলে ভাসা জলে  মৃত  জলজ  শৈশব,
অন্ধকারের বাসি স্বাদে বুক পেতে
ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ....


কোন মন্তব্য নেই: