“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

চলো ভাসানে


 ।। মনোজিৎ দত্ত।।

(C)Image:ছবি













লছো - বৃষ্টি হলে আসবে না
আমি একটা কথা বলবো -
বৃষ্টি হলেই তুমি আসবে আমার কাছে 
দুজনে একসঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজবো বলে
কতদিন একলা বৃষ্টির দিকে তাকাই না ...

একদিন ছেলেটা এলো - ভিজতে ভিজতে
কড়া নাড়তেই মেয়েটা দরজা খুললো
নির্বিকার - যেন কিছুই হয়নি
ছেলেটা বললো - একটা তোয়ালে অন্তত দাও
অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে এলাম তুমি বললে বলে

মেয়েটা হা করে তাকিয়ে রইলো -
কই! তোমার গায়েতো শুধু জল - বৃষ্টি কই!
একা একা বৃষ্টিতে ভেজা যায়না
বাইরে এখনো বৃষ্টি - চলো - দুজনে একলা ...
মেয়েটা ছেলেটার হাত ধরে টান দিতেই
বৃষ্টি ফুড়ুৎ ... ভেজা হলনা একসঙ্গে দুজনের

শ্রাবণ ফুরিয়ে গেছে প্রায়
সামনের অগ্রহায়ণে ওদের বিয়ে
মেয়েটা ভাবছে -
এবার নাহয় বৃষ্টিকেই আশ্বিনটা দেবো
পুজোয় বৃষ্টি ... বৃষ্টিতে পুজো ...
দুজনে শুধু ভিজবো ভিজবো আর ভিজবো
প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে রাস্তায় রিক্সায় ...

এরপর ...
কত আশ্বিন গেল - এক দুই তিন
অগ্রহায়ণ গেল - এক দুই তিন
ইতিমধ্যে মেয়েটার নতুন নাম - 'ধর্ষিতা'
সেদিনও বৃষ্টি ছিল খুব ...

এবছর সত্যি বৃষ্টি হল পুজোয় 
মেয়েটি উদাস বারান্দায় একা
অঝর বৃষ্টি -রুমঝুম - টাপুর টুপুর
হঠাৎ একটা হাত কাঁধে ঠেকলো
চেনা উষ্ণতা - চেনা শ্বাস - গন্ধ

ছেলেটা বললো -
চলো বিসর্জনে যাবো
মেয়েটা আঁতকে উঠে না, বাইরে বৃষ্টি ...
ছেলেটা বললো -

হ্যাঁ, বৃষ্টিতেইতো যাবো চলো ভাসানে যাবো ...

কোন মন্তব্য নেই: