।। নীলদীপ চক্রবর্তী।।
আবার আশ্বিন এসেছে
আনুষঙ্গিক সবাই সঙ্গে আছে
ভেজা ঘাস শিউলি ভোরের কুয়াশা
রোদ্দুরে শুকনো খড় আর
কুমারের নরম সাদা মাটি ।
ইতিমধ্যে পুরোনো হয়ে গেছে
টাওয়ারের কণ্ঠায় ইস্পাত পাখির দাপাদাপির কাহিনি।
থামছে সমুদ্র উপকূলে গাজা উপাখ্যান –
হঠাৎ পথ ছেড়ে রেল, শূন্যে বাতাসে আর জলে
কু ঝিক ঝিক করতে করতে চলে যায় অনন্তের পথে ...
ভাগ্যি সেদিন অপু আর দুর্গা দাঁড়িয়ে ছিল না
কাশ বনের পাশে...
দেশীয় শান্তি বজায়ে বিরোধীরা সেদিন পথ অবরোধ করেছিল।
টেলি মোবাইল যোগে বেহেস্ত আর বৈকুণ্ঠ সরগরম
শ্রীহরি আর আল্লাহর চাপা উত্তেজনা –
তাঁদের অনুরাগীর এ ওর বাধা এলাকায়ে ঢুকে
খেয়োখেয়ি আর বাদর নাচ করে জখম হচ্ছে অবিরত ।
অসময়ে বাতাসে হোলি উৎসব জমেছে – নররক্তে
!
শান্তি সংঘের বিদেশী বৈঠকে শাসকের
অন্দর মহলের অজস্র কেচ্ছা সযত্নে মুড়ে বসেছেন ।
পিতৃপক্ষের শেষে দেবী পক্ষের শুরু –
ঢাকের বাদ্যি শুরু হয়েছে ততক্ষণে ,
মণ্ডপে সাজসজ্জা আলো কল্কা কলস
উদ্যমী যুবাদের শেষরাতের কারণবারি
সযত্নে মজুত আছে ...
স্বামী ও নিরীহ সন্তানদের সাথে
মা আসছেন ।
আনুষঙ্গিক সব্বাইকে সঙ্গে নিয়ে –
ভেজা ঘাস, শিউলি, ভোরের
কুয়াশা, মাটি
খড়, রক্ত গুলি আর ধোঁয়ার সাথে -
এবারে আশ্বিনে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন