“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৮

বাঁশি

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন ।।


(C)Image:ছবি













ছুটে যাবার জো নেই জোরকদমে
প্রহরগুলো প্রহরীর হাতুড়ি হাতে
বুকের ভেতর ঘন্টা বেজে ওঠে
বাঁশি তো থামে না ৷ সাত সকাল থেকে
সাত ঘাটে হাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ ৷
ঘর দোর কেঁপে ওঠে ৷ অচিন খাঁচার ঘেরাটোপে এত ব্যাকুলতা আছে ৷ জানি না যে ৷
বাঁশি তোকে বারণ করেছি কতো ৷  কাঁদাবি না আর ৷
সংকেতের অঝোর ধারা ৷ কলঙ্কে পোড়ে আমার দুই আখর ৷
এ নাম লুকোবো কোথায় ৷ মরমিয়া বাঁশি আমার !
গোকুল জেনে গেছে আমার পরকিয়া মাঠ ৷
ব্যঞ্জনে ভুল বর্ণ ৷ ভুল উনুন জ্বালি ৷
পোড়া কলস ডাকে কেবল ডাকে কালিন্দীর ঘাট ৷

কোন মন্তব্য নেই: