“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৮

পরকীয়া

















| | অর্পিতা আচার্য | |
ভোর রাত্রে কলতলে জাপটাইয়া চুমু খাও ঠোঁটে 
তোমার কি হায়া নাই, ভয় নাই মোটে ?
কী জানি বেড়ার ধারে, করবী গাছের তলে
ফুল তুলতে আইসে কি না কেউ
বুকের মইধ্যে করে ধড়ফড় সংসার জুইড়া উঠে উঁচানিচা ঢেউ
বিছনায় শুইয়া আছে, পোলা, কচি -
চোলাই খেয়েছে...তবু সে তো মোর স্বামী
তুমারে কি চোখে দেখি, জানে শুধু অন্তর্যামী!
এই যে ঠোঁটের মইধ্যে চান্দপানা দিলে দাগটুক
সারাদিন আয়নায় ঘুইরা ঘুইরা দেখমু তারে
কী জানি এ কীসের ধুকপুক -
রান্ধা জানি, বাড়া জানি, বাচ্ছা-পালা স্বামীসেবা জানি
বিকালে গা ধুইতে গেলে কলতলায় কথা চালাচালি
শ্বশুর কাশলে দেই রস কইরা, বাসক পাতার
শাশুড়ি বকলে কান্দি, ডাকলে খুশি,পা টিপি আবার !
এই তো জীবনখানি রান্ধাবাড়া, পরনিন্দা ঝগড়াঝাঁটি কত ঝাঁটপাট
পানের বাটায় হাসে সুখদুঃখ, গোবরে লেপলে ঘর, হাসে ফিটফাট -
যখন চাইব স্বামী অনিচ্ছায় দেহ করি দান
আমি তো বান্দি মাত্র - সে আমার মালিক লাহান !
এ জীবনে এ পিরীতি তুমি কও এ কোনো মানায় ?
আড়াল পাইলে তুমি গাঢ় চোখে চাও, আর ক্যান চুমা খাও ?
ওই সামনে নদীখান, কুনো মাঝি যদি জাইগ্যা থাকে?
যদি দেখে তুমি আমি জ্যোস্না চান্দ, ভোরের আকাশে?
তুচ্ছ একটা প্রাণ নিয়া মাইয়া মাইনষে এমনেই তো বাঁচে -
কি জানি কি ছটফট ভালবাসা বুকে লেখ
এ জীবনে এই কী গো সাজে ?
তুমি জান, আমি জানি, এ পিরীতি আদি অন্তহীন
বিবাগী সাপুড়ে তুমি, ক্যান বাজাও এই নষ্ট বীন ??


কোন মন্তব্য নেই: