“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০১৫

শ্রাবণধারা

(যুগশঙ্খ রবিবারের বৈঠকে ৯.৮.১৫ তারিখে প্রকাশিত)
।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।


ই আষাঢ়ে শ্রাবণে
যত মেঘ ঝরে মনের গহনে
তত ঝরে না তো গগনে...
এখন অনেক বৃষ্টি চাই
ধারাসার অবিরত
যাতে ভিজে যায়
বারুদের স্তূপ
লুকোনো বোমা যত
দিগন্ত জুড়ে  শাওনের অভিসার
আবছায়া আঁকে  সীমান্ত- কাঁটাতার
অস্ত্রভাঁড়ারে অশেষ  ঘুমের ঘোর
সৈনিক হাতে  মেঘদূত কথা
প্লাবনে লেখে শ্রাবণের গাথা
মনোহারী চিতচোর ।
বৃষ্টি আসুক বৃষ্টি পড়ুক
শাল তাল  আর ফসলখামারে
জরি ফুল বোনা সবুজ চাদরে
ফুটুক কিষাণী সুখ ।
 এই মন-উচাটন শ্রাবণে
যত দেয়া ঝরে সজল নয়নে
তত ঝরে না তো গগনে...। 


কোন মন্তব্য নেই: