“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৫

কথাকৃতি




 ।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।










থারা যদি কাব্য হয়ে যায়
রোদের বেড়া লাগাব ঘরের পাশে
রাংচিতা ফুল বৃষ্টির দানা যত
জীবন জুড়াবে জলজ বসবাসে
স্বপ্ন ঝরানো নকশি কাঁথার মাঠে
যাযাবরী হাত নিবিড় বুনন তোলে
চন্দ্রস্রোতের ফিনকি ধারার রাতে
জোনাকিরা লেখে রূপকথা ইঙ্গিতে
কথারা যখন কাব্য হয়ে যায়
হিমেল হাওয়ায় ঈপ্সিত সুর ভাসে
নিষিদ্ধ গান বিশুদ্ধ হতে চায়
আকাশঢাকা অবিরাম ফুটপাথে
কবিতার মত জন্মেরা জন্মায়
কবিতার নামে  অনাহার ব্যথা ঢাকে
কবিতা বুকেই ভস্ম হয়ে যায়
ছাইচাপা ওই চিতার আগুনতাপে
কথারা যদি কাব্যের রূপ ধরে
আগুন ফুলেরা শ্রাবণ হয়ে ঝরে
পথের পাশের নয়ানজুলির মত
বেঁচে থাকবার অবকাশ কিছু বাড়ে

কোন মন্তব্য নেই: