“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৫

আদুরে মেয়ে


।। চিরশ্রী দেবনাথ ।।
(C)image:ছবি

  দ্মাবতী.....শ্রাবণ রেখে গেছে বৃষ্টির দাগ,
ভাদ্রের খরতা সেই দাগটুকু শুকিয়ে নেবার আগে যাবো চম্পকনগরে, সেখানের মাটির রঙ কি ধূসর না বহুদিন ধরে কত সনকার ব্রতপালনের রঙে গেরুয়া হয়ে আছে, করতোয়া নদীর তীরে, খুল্লনার ঢিপির পাশে, হাত ধরে বসাবো তোমায় ঠাণ্ডা পাথরে। লাল সন্ধ্যা  নেমে আসুক লখিন্দরের মেধে, কালনাগিনীর বিষ থাক আজ ভোমরা কোটরে,  সার সার ঘটে ভরে দিই ধূপ ধূপ ছোটবেলা,  শাপলারাঙা  বড়বেলা তোমার।  দেখো কেমন করে শ্রাবণ জুড়ে তোমার গান, হাসি কান্নার জীবনে  দিয়ে গেলে বারোমাস্যার টনিক।
আমপাতায় ঘন তেল সিঁদুর, "  জরৎকারুপ্রিয়া
 পুএবতী ভবো ", মাঝখানে তুমি একটি মন্ত্র শুধু,  ভালবেসেছ কখনো?  কেঁদেছিলে?
 ভালবাসায় জারিত না হওয়ার কান্না!  শান্ত বিস্ফোরণ চোখে নিয়ে কেন তাকিয়ে, শ্রাবণ মেঘে  যেন সহস্রাব্দের সুনামি!  নীলকণ্ঠের সব বিষ ঐ শরীর জড়িয়ে, আজ কিছু বিষ তুলে দাও শ্যামল মেয়েদের ফুলের মতো ঠোঁটে, কোমল নখের আঁচরে আঁচরে, ছোবলে শুষে নিক তারা ধর্ষণ, না ভালবাসার ভেজা পথে ছড়িয়ে দিলাম পদ্মপাপড়ি আর হাঁসপালকের নৌকো,   সপ্তডিঙা ভাসিয়ে অতীত থেকে তুলে আনি আজন্ম অহংকারী চাঁদ সদাগরকে,তোমার পূজো করেনি! নীচুতলার  "চেঙমুড়ী কানী" মেয়ে এক, এখন দেখুক সে কেমন করে ছেয়ে যাচ্ছো তুমি, মিশে যাচ্ছো ঘরের আদুরে মেয়ে হয়ে.... 

কোন মন্তব্য নেই: