“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫

স্বেচ্ছামৃত্যু





(সৌজন্যঃ  "অন্যদেশ" ওয়েব -জিন আগস্ট, ১৫ সংখ্যায় প্রকাশিত))





















 ।। দেবলীনা সেনগুপ্ত ।।




রবিদ্ধ ভীষ্মের মত
শুয়ে আছে ক্ষতবহা সময়
স্বেছামৃত্যুর অপেক্ষায়।
মরণও কি হতে পারে বরদান!
কতটুকু থাকে ফাঁক
বেঁচে থাকা অথবা মরে যাওয়ায়?
ধৃত যার হাতে রাষ্ট্রের লাগাম
সেই তো জন্মান্ধ!
বিবমিষার রতিক্রিয়ায়
কিলবিল কুরুপাপ
উন্মুখ করে ক্ষতমুখ
শোণিতধারায়।
অস্তাচল সূর্যরেখা
আঁকে ইচ্ছামরণের
ত্বরান্বিত দিনকাল
তবুও আদিম জিজীবিষায়
দীর্ঘায়ত হয় বেঁচে থাকা
ঘৃণায় …যন্ত্রণায়।।



কোন মন্তব্য নেই: