“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

চলমান গল্প; কবি-৪

।। শৈলেন দাস।।

ভোটে জিতেই খোলস ছাড়লেন রবীন্দ্র পুরোহিত। নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে পার্টির নীতি আদর্শকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে নিজের উত্তরসূরির ভবিষ্যৎ গড়ায় মনোনিবেশ করলেন তিনি। আমজনতা বেজায় খাপ্পা। দলীয় কর্মীদের মধ্যেও অসন্তোষ তীব্রতর হচ্ছে। এ হেন পরিস্থিতিতে কবি একদিন তাদের এলাকার ডাকাবুকো পাতিনেতা বজুদা'কে পেয়ে রবীন্দ্রবাবুর স্ট্য্রাটিজিটা কি জানতে চাইতেই বজুদা ব্যাট ধরলেন পুরোহিতের হয়ে এবং কভার ড্রাইভে বাউন্ডারি মারার মত বলে দিলেন- 'যেখানে আমাদের মানুষ সেখানে কাজ হবে। তাছাড়া ছোটখাটো অভাব অভিযোগ কানে নিয়ে লাভ নেই, কিছুদিন পর বড় বড় ফলক লাগলেই সব সমালোচনা বন্ধ হয়ে যাবে। কাজ কি হল তার সাক্ষ্য বহন করবে ফলকই।'

'আমাদের মানুষ!' কনসেপ্টটা একেবারেই নতুন ঠেকাল  কবির কাছে। বাল্যকাল থেকেই পার্টির সংস্পর্শে থাকলেও ব্যক্তি কেন্দ্রিক লবিবাজির পরিধি যে এতদূর পর্যন্ত ব্যাপ্ত হয়ে গেছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কবি। অগত্যা বজুদা'র সাথে আর কথা বাড়ালেন না তিনি শুধু মনে মনে বিড়বিড় করলেন ' মানুষের মন থেকে উঠে গেলে ফলক লাগিয়ে টিকে থাকা যাবে কত দিন?'

কোন মন্তব্য নেই: