“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

স্বাধীনতার অনুভব




।। শিবানী দে।।


















স্বাধীনতা কথাটা যখন অনুভব করলাম
তখনি আমার মাথাটা উঠতে থাকল উঁচুতে,
অনেক উঁচুতে, আরো অনেক উঁচুতে,
ছাদের কংক্রিট, মেঘের আচ্ছাদন, বাতাসের চাপ অতিক্রম করে,
বায়ুমণ্ডলের সবগুলো স্তর ছাড়িয়ে উঠতে থাকল কালো শূন্যে,
বাধাহীন সূর্যের আলোর মত জ্বলতে থাকল,
হিমালয় পড়ে রইল পায়ের কাছে,
আশেপাশে সব কিছু ছোট হয়ে যেতে থাকল,
চাঁদ তারারা ঘুরতে থাকল চারপাশে,
আমার কানের ভেতর গরজাতে থাকল সহস্র সমুদ্রের ঢেউ,
আমি বিগ ব্যাং-এর ধ্বনি শুনতে পেলাম,
পৃথিবী তো কোন ছার,
কোনো শক্তিই আমাকে নোওয়াতে পারল না,
আমার সঙ্গে ঈশ্বরের মুখোমুখি দেখা-----
আর তখনি তিনি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হয়ে আমার ভেতরে ঢুকে গেলেন,
আমার দেহের ভেতরে আমি তাঁকে লালন করলাম, পালন করলাম, পোষণ করলাম,
তারপর ছেড়ে দিলাম নিচের পৃথিবীতে ।

কোন মন্তব্য নেই: