“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০১৬

গরুবাছুরের কবিতা


।। শিবানী দে।।
















হাম্বা হাম্বা হা।

রাতে বিইয়েছিলাম বাছুর, দিনে দেখি বাঃ,
হয়েছে মানুষ মানুষ ছা!
বাছুর হলে ষাঁড় হত, কিংবা হত গাই,
বাঁচার ঠিকঠিকানা নাই।
কেজানে কোন অজাত কুজাত, কোন মুসলমানের পো
খেয়ে ফেলত গো!
মানুষহয়েছে বাচ্চা মোদের, দুই হাত দুই পা!
হাম্বা হাম্বা হা ।

খেতে এবার পারবি? তবে বাপের ব্যাটা, খা।
বাছার হাতে লাঠি আছে, মারবে পোঁদে ঘা ।
হাম্বা হাম্বা হা।

চামড়া আর হাড় দিয়ে ব্যবসা করা চাই?
তোদের তো আর মা নয় গাই!
তোদের মায়ের ছাল ছাড়া গে যা ।
রাখোয়াল বাছাদের এসব অধম্মো সইবে না ।
হাম্বা হাম্বা হা।

খড় বিচুলি জল ভুষি পেলাম নাইবা পেলাম,
রোগে ক্ষুধায় প্লাস্টিক গিলে নাহয় মরেই গেলাম,
আমরা পূজ্য গরু মা।
হাম্বা হাম্বা হা ।

মরলে পরে অপবিত্রের বাড়া,
মড়া ফেলতে অবশ্য আসবে অচ্ছুত ওই ওরা
গরু নয় যাদের মা।
গোরুমায়ের মড়া আবার বাছারা ছোঁবে না।
হাম্বা হাম্বা হা ।



কোন মন্তব্য নেই: