“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

অবেলার রূপকথা

।।  দেবলীনা সেনগুপ্ত।।





























দালান জুড়ে চড়ুইপাখি রোদ
ঘাসফুল বিকেল
জলসই সখিরা অবেলার স্নানশেষে
 গৃহাভিমুখী
ফিরে গেছে নিজস্ব ডাঙায়
ডানায় মেখে নিয়ে  তিতির গন্ধ
ভেজা অলক প্রান্ত হতে টুপটাপ  
ঝরে পড়ে বিন্দু সুখ বিন্দু দুখ
এঁকে যায় প্রহর ও পথদাগ
প্রাচীন লিপিকথায়।
অন্তহীন কারুকাহিনীময়
শিল্পিত ইতিহাস
বিনম্র তথ্যতত্বে
বলেছিল যে অগণিত যাতায়াত
গোপন সুড়ঙ্গে  সুরম্য রথে ও পথে
সেইসব শেষে
এখন দালান জুড়ে
শুধুই চড়ুইপাখি রোদ
ঘাসফুল বিকেল
অবেলার রূপকথা আর নিমগ্ন বেঁচে থাকা

কোন মন্তব্য নেই: