“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

বিশ্বাস




   ।। শিবানী দে ।।














বাঁ চোখ নড়তে থাক । শুভ হবে, ভাল হবে
এই বিশ্বাসে খুশি থাকি শুভ তো সবাই আশা করে ।
কোন শুভ, কেমন মঙ্গল, কেবা জানে
তবু আশা জাগে প্রাণে কালো নিরাশার মাঝখানে
এখন এদেশে, সমাজে প্রচলিত মাৎস্যন্যায়----
ভোরের মুকুল শুভ গোধূলিতে ধুলায় মিলায় ।
দিনরাত উদ্বেগে থাকা----প্রিয়জন চোখের আড়ালে
আছে তো কুশলে ? বিলম্ব হচ্ছে, ফিরছে অক্ষত মেয়ে ঘরে ?
পথে যেতে চৌরাস্তায় ঠেলে দেবে নাতো কোন অকারণ
প্রতিদ্বন্দ্বী গাড়ি ? শত্রু মিত্র বোঝা বড় দুষ্কর এখন ।
মর্ষকাম উল্লাসেতে রোজ রক্তস্নাত ভূমি, দম্ভের চিৎকার,
মড়ারও কপালে লাগে দল কিংবা জাতির স্টিকার ।
ধুকধুক হৃদ্‌পিণ্ড, সারাবেলা ডান চোখ নাচে অমঙ্গলে-----
চারিদিকে দুঃশাসন  ললকায়, দুঃসংবাদ ছায়া ফেলে
অন্ধকারে প্রেতাত্মার মত এই ভূমির উপরে
কেন? কে উত্তর দেবে ? তাই কুসংস্কার বসে গেঁড়ে 
মনের ভিতরে এই নিরাশার দেশে । এই ভেবে সুখ-----
 বাঁ চোখের নর্তনে আজ শুভ হোক, কল্যাণ আসুক ।



কোন মন্তব্য নেই: