“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

আমার কবিতা

সুপ্রদীপ দত্তরায়










মার কবিতা 
অনেকটা যেন বাঁধ ভাঙ্গা বন্যার জল ।
তোমার বুকে জমে থাকা যত দুঃখ শোক ভাসে
ধুয়ে মুছে নিতে চাই কালান্তর কোন এক ক্ষণে ।
যেমনটি সেই বানপানি, হঠাৎই আসে
ভাসিয়ে দিয়ে দুপাশ তার 
আবর্জনার গতি হয় কালাপানির দেশে ।
আমার কবিতা 
অনেকটা সেই পথের বাঁকে ঘাসফুল যত লতা
মাটির কাছাকাছি, 
যেখানে তোমাদের দৃষ্টি কখনো পৌঁছতে পারে নি ।
আমার সূক্ষ্মতা, আমার রঙের বৈচিত্র্য , 
তোমাদের মনে কখনো আন্দোলন করে না  সৃষ্টি , 
তবু আমি ফুটবো তোমাদেরই প্রত্যাশাতে, 
তোমাদের আগমনের বার্তা পেয়ে, আমন্ত্রণের তরে।
আমার কবিতা 
লোকে বলে প্রত্যেকটা এক একটা উইঢিবি ।
অসংখ্য উইপোকার বাস।
তাদের বুকের যন্ত্রণা, আর্তনাদ, 
আমার কবিতার সুবাস ।
যেখানে অন্যায়, কবিতা সেখানে প্রতিবাদ  
কবিতায় খুঁজি আমি , নিরলস মুক্তির স্বাদ ।
আসলে কবিতা কখনোই আমার কাছে ঘাস ফুল লতা নয়
কবিতা আমার তৃতীয়ভুবন, বারোমাস বসন্তময় ।


কোন মন্তব্য নেই: