“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

এক শরীর হাঁটে

।। অভীক কুমার দে ।।









দুটি পথ, আমি একা, 
এক শরীর হাঁটে।
বিভাজিত আমি পথ থেকে পথে
কত ফাঁকি কত কাঁটাতার বুকে
কেউ সুখে নাহয় অসুখে,
আমি একা, শরীর হাঁটে।
ভাষার লাশ ভেসে উঠেছে যত 
তত আমি সমুদ্র- শ্মশান বুকে
একা,
এক শরীর হাঁটে
যে ঘাটে ঘুমোতে আসে ঈশানের আলো
বুকের খাঁচা ভাগ করে ফেনি
মুহুরির নকল খতিয়ান হাতে
বাহারি পাহাড়ের কারুচাষি আমি,
ক্লান্ত।
আজও গোছানো হলো না কিছুই
সব পথ আর পতাকা অচেনা হয়ে যায়,
এক শরীর হাঁটে ঠিকানা বিহীন !


কোন মন্তব্য নেই: