“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

পাখি

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।


(C)Image:ছবি










মার একটা পাখি ছিল 
হালকা সবুজ, তাতে লাল হলুদের ছোপ
উজ্জ্বল, বর্ণময় তার গায়ের রঙ
  
ঠিক যতটা রঙিন একটা স্বপ্ন হতে পারে
 
ততটাই সুন্দর, কোমল
 
এই ফ্যাকাসে আকাশে সে, বড় বেমানান ।
আমার মনের কথা পাখিটি জানে
মনেতে এখন তার শুধু
  অভিমান ।
স্বপ্ন কেন ভয়ঙ্কর, এখনো  জানি না 
শতাব্দী ব্যাপী শুধু উৎখাত রচনা
 
ক্রমাগত ভয় আর
  ক্লান্তি নিয়ে এই পথ  চলা
প্রতিবাদী শক্তিগুলো, শুধু
  জংধরা 
রক্তাক্ত হাতে হাত,
  ভালবাসা ভান
জয় হোক ওদের, ওরা রক্তবীজ, ওরা আয়ুষ্মান ।
রাত্রির অতল গহ্বরে
  যত তরল গরল
বোমা হয়ে ফাটবেই, সেতো যত্নের ফসল
 
পাখিটিও খিলঞ্জিয়া ছিল, ওর রক্তাক্ত ডানা
আমার মনের ব্যথা পাখিটির জানা।
কতবার বলেছি তাঁকে, যাও উড়ে যাও, 
অভাগা দেশ, দিচ্ছে তোমায় অসীম লাঞ্ছনা
 
তোমার জন্য নয় এ সঠিক আস্তানা
 
রাতের আঁধার শুনে, চাপা আর্তনাদ
 
চন্দ্রধর জাব্বরদের
  মিছিল অবাধ 
সান্ত্বনা দেয় ওকে, দেয় সূর্যের সন্ধান
 
সময় এখনো আছে,
  হোক অনুসন্ধান 
ইতিহাস বিকৃত করে, তারা চিহ্নিত হোক
 
বোমা হাতে ফিরে যারা নিশ্চিহ্ন হোক
রাত্রি গভীরতর, জেনো ভোর সন্নিকটে
 
রুখে দাঁড়াও তুমি হে সন্ন্যাসী , এই মহাসংকটে
 
আমার মনের কথা, পাখিটার জানা
 
আমারই মত তার রক্তাক্ত ডানা ।


কোন মন্তব্য নেই: