“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

শীতোষ্ণ

(C)Image:ছবি










।। দেবলীনা সেনগুপ্ত।।

শীতমেলায় ঘুরতে ঘুরতে
বাইশ নম্বর স্টলে এসে
থম্‌কে থেমে গিয়েছিল নজর-
ময়ূরপঙ্খী রেশমী শাড়িতে
দোল খাচ্ছিল শীতের নরম রোদ
পাশেই ভ্রমরকালো পশ্‌মিনা চাদর
যেন মানিকজোড়
আহ! এই শাড়িটার সঙ্গে ঐ চাদরটা
আর ওই চাদরের সঙ্গে এই শাড়িটা
যা মানাবে না...
ঠিক তোমার - আমার যুগল জীবনের মত
এক বিহনে অন্য বৃথা।
কিন্তু মাসান্তে
আমার হাতব্যাগ...তোমার বুকপকেট
দুই-ই পূর্ণ শুধু স্বপ্নময় শূন্যতায়
তা দিয়ে আকাশকুসুমের মালা গাঁথা যায়
কিন্তু রেশমী পশমকে বশে আনা
তার কম্ম নয়...
সুতরাং,
হাত ধরাধরি করে গন্তব্য বদলে নেওয়া-
চোখ ইশারায়

আর ঠিক তখনই
ভালোবাসা নরম রেশমের মত
পশমী চাদর হয়ে জড়িয়ে যায়
আবেশময় উষ্ণতায়-
নক্‌শি-কাঁথা হয়ে ওম্‌ ছড়ায়
ইহকালের জীবন থেকে
পরকালের মৌনতায়...।

কোন মন্তব্য নেই: