।।দেবাশিস ভট্টাচার্য ।।
আমাদের এই গ্রুপ গতরে বাড়ছে, বিচিত্র মেজাজের বন্ধুরা জড়ো হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই এক বা একাধিক আবেদন থাকে সভ্য হতে চেয়ে।গত এক বছরে, আলাপ এর, তর্কের বিষয় ও বিস্তৃত হয়েছে। সভ্যদের সক্রিয়তা বাড়ছে, আমি একজন এডমিন হিসাবে উৎসাহিত। আমরা, এডমিনরা সমবেতভাবেই উৎসাহিত। একই সঙ্গে অস্বস্তিরও কিছু জায়গা তৈরি হয়েছে। প্রথমত, এই গ্রুপ এর নামেই আছে ‘একটি বাংলা গোষ্ঠী’।আমরা বারবার অনুরোধ করা সত্বেও অনেকে রোমান হরফ ব্যবহার করেন। যারা মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদের কেউ কেউ হয়ত বাংলা হরফে লেখার সুবিধে পান না। এখানে অনেক বন্ধু আছেন, যারা মোবাইলে বাংলা হরফ কী করে লেখা যায়, তা শিখিয়ে দেবার জন্যে মুখিয়ে আছেন, মাঝে মাঝেই এটা তাঁরা করেও থাকেন। কিন্তু আমরা অস্বস্তিতে পড়ি যখন দেখি অনেকেই দস্তুর মতো বাংলা হরফ লিখতে পারেন, তবু সামান্য শ্রম স্বীকার করবেন না বলে রোমান হরফে মন্তব্য করেন বিভিন্ন আলোচনায়। প্রত্যেকজন সভ্যই ঈশানের সম্পদ। আমি অনুরোধ করি, অনুগ্রহ করে, ঈশানের স্বতন্ত্রতার জায়গাটিকে আসুন, সবাই সম্মান করি।
দ্বিতীয় একটি বিষয়ের দিকেও সভ্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।সাম্প্রতিক অতীতে ঈশানের উঠোনে নানা বিষয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছে। এটি আশার কথা। বিতর্কই তো সত্যে পৌঁছানোর পথ, বিশ্বাসে মিলায় যে কৃষ্ণ, তাঁর প্রতি ঈশানের আস্থা কম।ঈশান যেমন সৃজনের মঞ্চ, তেমনি তর্কের ও। তবে, কিছু কিছু তর্কে, কোনো কোনো সভ্য বড়ো অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি, ‘আমি সমাজের বিবেক’ নামের আড়ালে এক সম্মানিত সভ্য এবং সুশান্ত কর এর দু’টি পোস্ট এ তর্কে এটা লক্ষ করা গেছে। ঈশান সব মতকে, মতের ভিন্নতাকে মর্যাদা দেয়। কিন্তু যুক্তির লড়াই থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে কথা যখন মোড় নেয়, তখন অসহিষ্ণু প্রকাশগুলি বিব্রত করে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে, এবং এডমিন্ দের একজন হিসাবেও একাধিকবার সভ্যদের অনুরোধ করেছি এই আলোচনায় “অনুগ্রহ করে” মন্তব্য যোজনা থেকে বিরত হতে। এও অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের যে, চলতি পোস্ট এর বিষয় নিয়ে আলোচনার একটি নতুন সুতো খুলতে। এ ছিল ঈশানের সঞ্চালক(এডমিন)দের নমনীয় অনুরোধ। কিন্তু সভ্যরা এর পরও আলোচনায়, শব্দের শোভন সজ্জা ভুলে দস্তুরমতো ব্যক্তিগত কাজিয়ায় মেতেছেন।অস্বস্তি বাড়িয়েছেন আমাদের। সভ্যদের মধ্যে দু রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কখনো এডমিনদের কাউকে কাউকে ব্যক্তিগত মেসেজ এ মত প্রকাশে বাধা দেওয়ার অনুযোগ করেছেন, কেউ আবার ঈশানের মঞ্চে অশোভন মন্তব্য বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানিয়েছেন।কিন্তু, এটাও ঠিক যে কেউ ই তর্ক বন্ধ হোক এমন কথা বলেন নি। এটাই ঈশানের স্পিরিট।আমরা তর্কের পক্ষে, কিন্তু তর্ক হোক বন্ধুদের চিন্তার সমিধ, তর্ক উৎসাহিত করুক নীরব বন্ধুদের সবাক হতে। প্রতিটি ভালো আলোচনায় নতুন নতুন সভ্য মন্তব্য রাখছেন, গ্রুপ এর আলোচনার মান বাড়ছে। কিন্তু তর্ক যদি মনের পীড়া হয়ে ওঠে, তখন সভ্যরা বিরক্ত হন।আমরা আবার ও আবেদন করি, আলোচনা, তর্ক হোক। প্রতিজন বন্ধুই ঈশানের সম্পদ। সকলের কোরাস এ ঈশান সমৃদ্ধ হোক।কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রমণ পালটা আক্রমন বন্ধ রাখুন, অশোভন শব্দসজ্জা পরিহার করুন। এ কোনো ম’রাল পুলিশি উচ্চারণ নয়, এ আমাদের সভ্যদের সমবায়ী রুচির দাবি।ইদানিং কেউ কেউ হাওয়ায় তলোয়ার ঘুরিয়েই যেন মঞ্চে ওঠেন। ঈশানের পুঞ্জমেঘ এর অধিকাংশ বন্ধু মনে করেন, ঈশান এরকম বেয়াড়াপনার মঞ্চ নয়।
আবার সভ্যরা অনেক সময় কোনো সভ্যের ব্যক্তিগত মতকে ঈশানের মত বলে মনে করেন।নিজের অপছন্দের মত থাকলেই তা ঈশানের ‘অনুমোদিত’ মত ভাবার কোনো কারণ নেই, বন্ধুরা। আমরা কারও মত এর উপর খবরদারি করতে চাই না, যতটা সম্ভব। প্রয়োজনে, কখনো এডমিন এর তরফ থেকে কোনো মন্তব্য মুছে দিলে বন্ধুরা ভাববেন না, এটা কেউ ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। ঈশানের সভ্যদের জানাতে পারি, সঞ্চালকমণ্ডলী নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেন। কারো মন্তব্য মুছে দিতে, কোনো পোস্ট এ আর মন্তব্য করতে না পারার মতো প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নিতে আমরা ব্যাথা পাই। জানবেন, এটা সমবেত সিদ্ধান্ত, এবং কোনোরকম আক্রোশবশত আমরা এই কাজ করি না। কারও একটি মন্তব্য মুছে দিলে কেউ যেন না ভাবেন, ঈশান তাকে প্রত্যাখ্যান করল। বরং এভাবে দেখুন যে আপনার এই মন্তব্যটি ঈশান গ্রহণ করতে পারল না। সম্প্রতি এমন দু একটি পদক্ষেপ আমাদের নিতে হয়েছে, একটি আলোচনা কিছু সভ্যের জোর দাবি সত্ত্বেও, মুছে না দিয়ে শুধু থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঈশানের সভ্য বন্ধুদের কাছে আবেদন, সরব থাকুন। বহু স্বরের সংলাপ একটি গ্রুপ এর শক্তি ও সৌরভ। আসুন ব্যক্তিগত মত ও সৃজন নিয়েও। আসুন বাংলা হরফে।আসুন, আলোচনার শোভন, গণতান্ত্রিক, সহিষ্ণু মঞ্চ হিসাবে সবাই মিলে ঈশানকে আরও সুন্দর, আরও প্রিয়, আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলি।
আমাদের এই গ্রুপ গতরে বাড়ছে, বিচিত্র মেজাজের বন্ধুরা জড়ো হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই এক বা একাধিক আবেদন থাকে সভ্য হতে চেয়ে।গত এক বছরে, আলাপ এর, তর্কের বিষয় ও বিস্তৃত হয়েছে। সভ্যদের সক্রিয়তা বাড়ছে, আমি একজন এডমিন হিসাবে উৎসাহিত। আমরা, এডমিনরা সমবেতভাবেই উৎসাহিত। একই সঙ্গে অস্বস্তিরও কিছু জায়গা তৈরি হয়েছে। প্রথমত, এই গ্রুপ এর নামেই আছে ‘একটি বাংলা গোষ্ঠী’।আমরা বারবার অনুরোধ করা সত্বেও অনেকে রোমান হরফ ব্যবহার করেন। যারা মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদের কেউ কেউ হয়ত বাংলা হরফে লেখার সুবিধে পান না। এখানে অনেক বন্ধু আছেন, যারা মোবাইলে বাংলা হরফ কী করে লেখা যায়, তা শিখিয়ে দেবার জন্যে মুখিয়ে আছেন, মাঝে মাঝেই এটা তাঁরা করেও থাকেন। কিন্তু আমরা অস্বস্তিতে পড়ি যখন দেখি অনেকেই দস্তুর মতো বাংলা হরফ লিখতে পারেন, তবু সামান্য শ্রম স্বীকার করবেন না বলে রোমান হরফে মন্তব্য করেন বিভিন্ন আলোচনায়। প্রত্যেকজন সভ্যই ঈশানের সম্পদ। আমি অনুরোধ করি, অনুগ্রহ করে, ঈশানের স্বতন্ত্রতার জায়গাটিকে আসুন, সবাই সম্মান করি।
দ্বিতীয় একটি বিষয়ের দিকেও সভ্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি।সাম্প্রতিক অতীতে ঈশানের উঠোনে নানা বিষয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছে। এটি আশার কথা। বিতর্কই তো সত্যে পৌঁছানোর পথ, বিশ্বাসে মিলায় যে কৃষ্ণ, তাঁর প্রতি ঈশানের আস্থা কম।ঈশান যেমন সৃজনের মঞ্চ, তেমনি তর্কের ও। তবে, কিছু কিছু তর্কে, কোনো কোনো সভ্য বড়ো অসহিষ্ণু হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি, ‘আমি সমাজের বিবেক’ নামের আড়ালে এক সম্মানিত সভ্য এবং সুশান্ত কর এর দু’টি পোস্ট এ তর্কে এটা লক্ষ করা গেছে। ঈশান সব মতকে, মতের ভিন্নতাকে মর্যাদা দেয়। কিন্তু যুক্তির লড়াই থেকে ব্যক্তিগত আক্রমণের দিকে কথা যখন মোড় নেয়, তখন অসহিষ্ণু প্রকাশগুলি বিব্রত করে। কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে, এবং এডমিন্ দের একজন হিসাবেও একাধিকবার সভ্যদের অনুরোধ করেছি এই আলোচনায় “অনুগ্রহ করে” মন্তব্য যোজনা থেকে বিরত হতে। এও অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের যে, চলতি পোস্ট এর বিষয় নিয়ে আলোচনার একটি নতুন সুতো খুলতে। এ ছিল ঈশানের সঞ্চালক(এডমিন)দের নমনীয় অনুরোধ। কিন্তু সভ্যরা এর পরও আলোচনায়, শব্দের শোভন সজ্জা ভুলে দস্তুরমতো ব্যক্তিগত কাজিয়ায় মেতেছেন।অস্বস্তি বাড়িয়েছেন আমাদের। সভ্যদের মধ্যে দু রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কখনো এডমিনদের কাউকে কাউকে ব্যক্তিগত মেসেজ এ মত প্রকাশে বাধা দেওয়ার অনুযোগ করেছেন, কেউ আবার ঈশানের মঞ্চে অশোভন মন্তব্য বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে আর্জি জানিয়েছেন।কিন্তু, এটাও ঠিক যে কেউ ই তর্ক বন্ধ হোক এমন কথা বলেন নি। এটাই ঈশানের স্পিরিট।আমরা তর্কের পক্ষে, কিন্তু তর্ক হোক বন্ধুদের চিন্তার সমিধ, তর্ক উৎসাহিত করুক নীরব বন্ধুদের সবাক হতে। প্রতিটি ভালো আলোচনায় নতুন নতুন সভ্য মন্তব্য রাখছেন, গ্রুপ এর আলোচনার মান বাড়ছে। কিন্তু তর্ক যদি মনের পীড়া হয়ে ওঠে, তখন সভ্যরা বিরক্ত হন।আমরা আবার ও আবেদন করি, আলোচনা, তর্ক হোক। প্রতিজন বন্ধুই ঈশানের সম্পদ। সকলের কোরাস এ ঈশান সমৃদ্ধ হোক।কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রমণ পালটা আক্রমন বন্ধ রাখুন, অশোভন শব্দসজ্জা পরিহার করুন। এ কোনো ম’রাল পুলিশি উচ্চারণ নয়, এ আমাদের সভ্যদের সমবায়ী রুচির দাবি।ইদানিং কেউ কেউ হাওয়ায় তলোয়ার ঘুরিয়েই যেন মঞ্চে ওঠেন। ঈশানের পুঞ্জমেঘ এর অধিকাংশ বন্ধু মনে করেন, ঈশান এরকম বেয়াড়াপনার মঞ্চ নয়।
আবার সভ্যরা অনেক সময় কোনো সভ্যের ব্যক্তিগত মতকে ঈশানের মত বলে মনে করেন।নিজের অপছন্দের মত থাকলেই তা ঈশানের ‘অনুমোদিত’ মত ভাবার কোনো কারণ নেই, বন্ধুরা। আমরা কারও মত এর উপর খবরদারি করতে চাই না, যতটা সম্ভব। প্রয়োজনে, কখনো এডমিন এর তরফ থেকে কোনো মন্তব্য মুছে দিলে বন্ধুরা ভাববেন না, এটা কেউ ব্যক্তিগতভাবে করেছেন। ঈশানের সভ্যদের জানাতে পারি, সঞ্চালকমণ্ডলী নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেন। কারো মন্তব্য মুছে দিতে, কোনো পোস্ট এ আর মন্তব্য করতে না পারার মতো প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ নিতে আমরা ব্যাথা পাই। জানবেন, এটা সমবেত সিদ্ধান্ত, এবং কোনোরকম আক্রোশবশত আমরা এই কাজ করি না। কারও একটি মন্তব্য মুছে দিলে কেউ যেন না ভাবেন, ঈশান তাকে প্রত্যাখ্যান করল। বরং এভাবে দেখুন যে আপনার এই মন্তব্যটি ঈশান গ্রহণ করতে পারল না। সম্প্রতি এমন দু একটি পদক্ষেপ আমাদের নিতে হয়েছে, একটি আলোচনা কিছু সভ্যের জোর দাবি সত্ত্বেও, মুছে না দিয়ে শুধু থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঈশানের সভ্য বন্ধুদের কাছে আবেদন, সরব থাকুন। বহু স্বরের সংলাপ একটি গ্রুপ এর শক্তি ও সৌরভ। আসুন ব্যক্তিগত মত ও সৃজন নিয়েও। আসুন বাংলা হরফে।আসুন, আলোচনার শোভন, গণতান্ত্রিক, সহিষ্ণু মঞ্চ হিসাবে সবাই মিলে ঈশানকে আরও সুন্দর, আরও প্রিয়, আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন