“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০২০

সংস্কার

।। এ এফ ইকবাল ।।
    
(C)ছবি:Image

            সংস্কার আর ধর্মীয় আচার সম্ভবত সব সময় এক নয়। কিন্তু ভারতীয় পরম্পরায় সংস্কার বলতে যে আচার আচরণ বুঝায়, তা কিন্তু মোটামুটি ধর্মীয় বিধিবিধানের আধারে গড়ে উঠেছে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এসব আচার বা প্রথায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। কেউ অনেক এগিয়ে যেতে গিয়ে সেগুলোকে একপ্রকার উপেক্ষা করে চলেছেন। আবার এর বিপরীতে অনেক এগিয়ে গিয়েও কেউ কেউ পরম্পরাকে ধরে রেখেছেন। এই যে এগিয়ে গিয়েও পুরোনো বলি অথবা পৌরাণিক পরম্পরাকে ধরে রাখার মতো মানুষ আজকাল যদিও সংখ্যালঘু, তবুও কখনো তার জলজ্যান্ত উদাহরণ আমাদের সামনে এসে পড়ে। 

       সে রকম একটি ঘটনা বলি আজ। হ্যাঁ, অবশ্যই ভ্রমণ কাহিনী। পূর্বোত্তর সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসে গুয়াহাটি আসছিলাম। এলাহাবাদ পৌঁছেছে সকাল নয়টার দিকে। একটি কথা সবাই জানি যে লংরুট ট্রেনগুলোতে স্লিপার ক্লাসে দিনের বেলা আর রিজার্ভ কম্পার্টমেন্ট হয়ে থাকে না প্রায়ই। উঠে পড়েন অনেক যাত্রী। 'থোড়া বৈঠ স্যাকতা' বলে পুরোপুরিই বৈঠ যাতা। এলাহাবাদে উঠে পড়লেন অনেক যাত্রী। আমাদের খোপে এক ইয়াং কাপল, আরও দুইজন। য়্যঁহি, সামনে মেঁ জানা হ্যায় ! পেছনেও কেউ যান কি না জানিনা, তবে বসার সময় সবাই বলেন 'সামনে মেঁ জানা হ্যায়' । অথচ বসে গেছেন যদি, সেই 'সামনে মেঁ' আসতে আসতে চার, পাঁচ এমনকি ছয় সাত ঘণ্টার যাত্রাও হতে পারে। দুই সিটে বসলেন দুজন করে। সেই দম্পতির দুজন দুই বেঞ্চে- মুখোমুখি। কোথায় যাবেন- জানতে চাইলে দুজন বললেন পরবর্তী স্টপেজের করা, আর সেই দম্পতি একেবারে পাটলিপুত্র । অর্থাৎ প্রায় ছয় ঘণ্টার যাত্রা। 

       আমার সিট ছিল জানালার পাশে। আমি উল্টো দিকের বেঞ্চের এক সিটে বসে ভদ্রমহিলাকে বললাম স্বামীর পাশে চলে যেতে। উদ্দেশ্য- ওরাও পাশাপাশি হয়ে গেলো, আর সেখানে আরেক মহিলা যাত্রী, পাশাপাশি বসলে হয়তো গপসপ করতে সুবিধা হবে। কথাবার্তা বলে জানা গেলো ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ার, আইআইটি রৌরকি থেকে পাশ করে রেলেই চাকরি করছে। ঘর এলাহাবাদ, পোস্টিং পাটলিপুত্র। ছুটিতে এসেছিল, ফের ডিউটি জয়েন করতে যাচ্ছে। একটি ব্যাপার দেখে আমার কিছু বিস্ময়কর লাগছিল। আইআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করা একটি ছেলে, বৌটিও যে শিক্ষিতা বা উচ্চ শিক্ষিতাই হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু এই আধুনিক যুগে এক ইঞ্জিনিয়ার পত্নী শাড়ি পরে,এমন ঘোমটা ঘামটা টেনে যাত্রা করছে, সত্যিই আমার কাছে বিস্ময়করই লাগছিল। কথাবার্তা তারা খুব কমই বলছে, কিন্তু যখন বলছে- ইংরেজিতে। অথচ ছেলেটি আমাদের সাথে কি ঝরঝরে হিন্দি বলছিল। পাশে বসা আরেক মহিলা, কিন্তু বৌটি ওর সঙ্গে একটা কথাও বলছে না। অনেকক্ষণ ধরে লক্ষ করছিলাম ব্যাপারটা। আমার মনে হয়েছিল বেশভূষায় সংস্কার ধরে রাখলেও নিজে উচ্চ শিক্ষিতা আর ইঞ্জিনিয়ার বাবুর বউ বলে হয়তো এ একপ্রকার দম্ভ। এক সময় জিজ্ঞেস করে ফেললাম ইঞ্জিনিয়ার ছেলেটিকে- তাদের কনভারসেশন ইংরাজিতে কেন

       ওরা পরস্পরের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিল। এরপর ধীরে ধীরে যে কাহিনি বললো, তা শুনে আমি শুধু মেয়েটির নয়, তার পুরো খান্দানের প্রতি হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। 

       মেয়েটির নাম নন্দিনী। তার পূর্বপুরুষরা কানপুরের বাসিন্দা। দেশ স্বাধীন হবার আগেই তার ঠাকুরদা দীননাথ মিশ্র এক ইংরাজ সাহেবের ঘরে বয় হিসেবে কাজ করতেন । অবশ্য দিনের বেলা ওরা দীননাথকে একটি দেশী স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। ছোট্ট ছেলে, সাহেব মেম তাকে খুব ভালোবাসতেন। স্বাধীনতার পর সাহেবরা যখন চলে যাবেন, নন্দিনীর ঠাকুরদার বাবাকে বললেন- দীননাথকে আমাদের সঙ্গে দিয়ে দিন। ওকে পড়াবো সেখানে, আর তোমার সংসার চালানোর জন্য মাসে মাসে কিছু টাকা পাঠিয়ে দেবো। সম্বলহীন এক পিতা, পাঁচ সন্তানের মুখে দুইবেলা ডালরুটি তুলে দেওয়া যার কাছে কষ্টকর, ছেলেটিকে সাহেবরা পড়াবেন শুনে আর না করতে পারলেননা। তাছাড়া সাহেব-মেম দীননাথকে যে রকম আদর স্নেহ করেন, তা দেখে দীননাথের বাবার বিশ্বাস ছিল যে সাহেবরা বেইমানি করবে না। ছেলেটি পড়াশোনা করে মানুষ হলে একদিন তাঁর পরিবারের হাল ধরতে পারবে- সেই ভরসায় ছেলেকে সাহেবের সঙ্গে যেতে দিতে সম্মত হয়েছিলেন। নিঃসন্তান হার্ডসন দম্পতি ইংল্যান্ড ফেরার সময় সঙ্গে নিয়ে গেলেন বালক দীননাথকে ।

       হ্যাঁ, সত্যিই সাহেব বেইমানি করেন নি। সময় সময় টাকা পয়সা ঠিকই পাঠিয়েছেন। আর বছর তিনেক পর থেকে দীননাথ চিঠি লিখতে শুরু করেছিলেন বাবার কাছে, ইংরাজিতে। তার পড়াশোনা ঠিকমতো চলছিল। বছর কয়েক পর, সে দেশে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেবার পর মেম সাহেব দীননাথকে নিয়ে বেড়াতে এসেছিলেন। দীননাথদের অবস্থা যে এতো বিপন্ন, তা কিন্তু সাহেবরা এর আগে প্রত্যক্ষ করেন নি। মেম সাহেব ঘরদোর তৈরির ব্যবস্থা করে দেবার আশ্বাস দিয়ে দীননাথকে নিয়ে আবার ইংল্যান্ড চলে গেলেন। যাবার আগে তার বাবাকে বলে গেলেন দীননাথের পড়াশোনা শেষ হলেই তাকে একটি চাকরি পাইয়ে দেবেন। তখন আর তোমাদের কোন অসুবিধা থাকবে না। মুচকি হেসে আরও একটি কথা বলেছিলেন মেম সাহেব- একটি লাল বৌও যোগাড় করে দেবো। এই শেষ কথাটি শুনে দীননাথের বাবা হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিলেন। মেম সাহেবের সামনে হাতজোড় করে সবিনয়ে বলেছিলেন, মেম সাহেব, আমরা দরিদ্র বলে শাস্ত্রের রেওয়াজ ভেঙে ছেলেকে আপনাদের সঙ্গে যেতে দিয়েছি কেবল পড়াশোনা করে মানুষ হবে বলে, তাই বলে যদি ওর জাত পরিচয় সব বিনষ্ট করে দিতে যান, তাহলে আর ছেলেকে যেতে দিচ্ছিনা সাহেব ! মেম সাহেব পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বললেন- আরে, এ তো তোমার সাথে মস্করা করছিলাম, তোমার ছেলে না চাইলে আমরা জোর করে তাকে বিয়েশাদী করাতে যাবো কেন? শেষ পর্যন্ত ছেলেকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে তাকে প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন সে যেন বংশের মুখে চুনকালি না দেয়। দেশের সংস্কার, সংস্কৃতি আর পৌরাণিক পরম্পরা থেকে কখনও সরে না যায়। 

       দীননাথ বাবার কাছে করা প্রতিজ্ঞার মর্যাদা দিয়ে গেছেন সারাজীবন ধরে। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে,সাহেবদের যাবতীয় সম্পত্তি আর ব্যবসায়ের উত্তরাধিকারী হয়েও দেশীয় সংস্কার থেকে এতটুকু সরে যাননি। কত ইংরাজ মেয়ে আর অভিভাবকের হাতছানি উপেক্ষা করে কানপুর এসে দেশীয় পরম্পরায় কুলীন ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কারি কন্যাকে বিয়ে করে নিয়ে গেছেন লন্ডন। দীননাথ মিশ্রের চাইতেও স্ত্রী সুচরিতা ছিলেন এক কাঠি এগিয়ে। লন্ডনের জীবনেও কখনও শাড়ি ছাড়েন নি। দৈনিক সন্ধ্যা আহ্নিক থেকে নিয়মিত পূজা অর্চনা সবকিছু মিশ্র পরিবারের সঙ্গী থাকতো একেবারে পঞ্জিকা পুঁথি ধরে। দুই ছেলে মেয়েকে সুশিক্ষিত ও সংস্কারি করে গড়ে তুলেছেন, সেই সঙ্গে দিয়ে গেছেন পারম্পরিক আচার আচরণের দীক্ষা। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন দেশে এসে স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে ।

       এক সময় দীননাথ মিশ্রের ছেলে কৃপানাথ মিশ্র লেখাপড়া করে উচ্চপদে চাকুরি ধরলেন। বুড়ো দীননাথ মিশ্রের আশঙ্কা ছিল ছেলে ব্যবসায় লেগে পড়লে কখনো আর দেশমুখো হবেনা। তাই তিনি ধীরে ধীরে ব্যবসা গুটিয়ে আনছিলেন। ছেলে স্বনির্ভর হয়ে উঠলে দেশের বাড়িতে স্থায়ীভাবে এসে বসবাস শুরু করলেন। ছেলের বিয়েও দিলেন এক শিক্ষিত কিন্তু সংস্কারি পরিবারের মেয়ের সাথে। ছেলে এবং নতুন বৌমাকে তাঁর পিতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে, সেই আদর্শ আজীবন মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে বিদায় করেছিলেন লন্ডন। 

       কৃপানাথ মিশ্রের দুই মেয়ে- মন্দাকিনী আর নন্দিনী । বয়সের অন্তর চারবছর। নন্দিনীর যখন কথাবার্তা ফুটছিল, তখন মন্দাকিনী স্কুল যেতে শুরু করেছে। স্কুলে কথাবার্তার ফ্লুয়েন্সির জন্য মা-বাবা ও তার সাথে ইংরাজিতেই কথা বলতে শুরু করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই দুই বোনের সম্বন্ধ হয় খুব ঘনিষ্ঠ। সেই সূত্রে নন্দিনী প্রথম থেকেই ইংরাজিতে হয়ে উঠলো ঝরঝরে। এরপর যখন স্কুল যেতে শুরু করলো, সেই পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতায় এমন জড়িয়ে পড়লো যে ভালো করে তার হিন্দি শেখাটা আর হয়েই উঠলো না। কিন্তু মায়ের কাছে সংস্কার এবং দেশীয় আচার দুইই পেয়েছে পুরোপুরিভাবে। নন্দিনী যখন মাসকমে পিজি করছিল, মায়ের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মন্দাকিনীর বিয়ে হয়ে গেলো লন্ডন প্রবাসী ইটাওয়ার এক পরিবারে। সেই পরিবারের এবং ছেলেটির আচার আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে কৃপানাথ বাবু সম্বন্ধে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁকে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল যে নন্দিনীকে আর সে দেশে বিয়ে দেবেন না- সে যতই ভালো সম্বন্ধ আসুক না কেন। গতবছর নন্দিনীর পড়াশোনা শেষ হবার আগেই এ দেশের কাগজে মেয়ের সম্বন্ধ চেয়ে মেট্রিমনিয়েল এড দিয়েছিলেন। যাচাই বাছাই শেষে মাত্র পাঁচ মাস আগে কানপুর এসে রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ার বিক্রমের সাথে মেয়ের বিয়ে দিয়ে গেছেন। 

       হিন্দিতে এখনও সে ফ্লুয়েন্ট হয়ে উঠতে পারেনি বলে খানিকটা চুপসে থাকে। কিন্তু বউমার আচার আচরণে বিক্রমের মা-বাবা বেজায় খুশি। প্রতিবেশী আত্মজনদের যারা লণ্ডনী মেয়ের সাথে ছেলের বিয়ে দিতে যাচ্ছেন শুনে নাক সিঁটকেছিলেন, তারাও এখন এমন গুণী বৌয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ঘরে তারা হিন্দিতেই কথাবার্তা করেন। কিন্তু রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় নন্দিনীর ভাঙ্গাচোরা হিন্দি শুনে কেউ কেউ কটাক্ষ করে বসেন বলে এখন আর সেই সুযোগ দিতে চায়না বিক্রম। 

       নন্দিনীর সিঁথির লম্বা সিঁদুরের রেখা দেখে একটি ঘটনা আমার মনে পড়লো। একবার আমাদের এই শহরের এক বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলাম। দেবব্রতের বিয়ের রিসিপশন অনুষ্ঠানে। বারান্দায় বসে বন্ধুদের সাথে এমনি কথাবার্তা বলছি, চা খাচ্ছি। নিমন্ত্রিত অতিথি আত্মীয় স্বজনেরা আসছেন। মাসিমার এক আত্মীয় পরিবার ও এসে পৌঁছেছেন তখন। মাসিমা তাদের খবর পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন- বরণ করে নিতে। 

       --আরে ইন্দ্রাণী, এতো দেরি হলো তোমাদের এসে পৌঁছতে। রীতা,সমীরণ তোমরা অনেক দিন পর এলে। বৌমা- বৌমা .. 

       --এইতো বৌমা, সুমি, মাসিমাকে প্রণাম করো। 

       --- এই আমাদের বৌমা ? কীগো, এ যে বৌমা, কেমন করে বুঝবো? না হাতে শাঁখা পলা, না সিঁথিতে সিঁদুর! বাবারে বাবা, এ কি যুগ এলো! 

      --সিঁদুর দিয়েছি মাসিমা, বলে নতুন বৌটি মাথার একপাশের চুল সরিয়ে কোথাও কিছু একটা আছে বলে দেখাবার চেষ্টা করছিল। 

       মাসিমা তাঁর চারশো পাওয়ারের চশমা দিয়ে সেই বস্তুটি আবিষ্কার করতে হয়তো কষ্ট হচ্ছিল, তাই হাঁক পাড়লেন- কইরে সম্পা, আমার সিঁদুরের কৌটোটা নিয়ে আয় মা। বলে তাদের ভেতরে নিয়ে আসছিলেন। আমরা বসে বসে নিশ্চুপ কাণ্ডটা লক্ষ্য করছিলাম। বারান্দায় উঠতে না উঠতেই সম্পার হাত থেকে সিঁদুরের কৌটোটা নিয়ে অভ্যাগত বৌমার সিমন্তে এঁকে দিলেন একফালি রাঙা রেখা। 

       দেবব্রত পরে জানিয়েছিল সমীরণের শ্বশুরবাড়ি আগরতলার পাশে তেলিয়ামুড়ায়। পোস্ট অফিসের ভালো পদে চাকুরী করে বৌটি। আধুনিকা। তাই ওসব আচার নিয়ে সে একপ্রকার উদাসীন। 

       ট্রেনে বসে বসে দেখছিলাম এক বৌমা নন্দিনীকে, আর মনে পড়ছিলো আরেক বৌমা সুমির কথা ।

 

কোন মন্তব্য নেই: