“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০

বুমারেং

 রম্য-কাব্য) 
--------------------------
  
                ।। সিক্তা বিশ্বাস ।।
       
(C) Image




















স্তানরা আজ বেশিরভাগই মেনি বিড়াল!! 
নেইকো সেই দাপুটে হুংকার! 
এক কথায় মুখে ছিপি আটকাবে
নেই সেই তেজী ধনুকের টংকার!

পাড়ার রুটির দোকানের  আড্ডার আসর
রকমারি সে যে বিচিত্র বাসর! 
নানান রঙিন মেজাজী চিত্র 
নিত্যনতুন যোগায় ঘটনা বিচিত্র!
কখনো কখনো কিছু মেজাজী খেয়াল 
দর্শায় যেন শানানো ঢাল-তরোয়াল!
যেমন দোকানে খদ্দেরের লাইন! 
তেমনি দোকানীর মেজাজ ও বুলি ফাইন! 
যতই হোক না চেনা জানা 
নিয়ম ভাঙায় তাঁর ঘোর মানা! 
বাইক হাঁকিয়ে কাল এক বাবুমশাই 
দেখাচ্ছিলেন মস্তানী যেন দোকানীর হবু জামাই! 
এমন ছিল তার হম্বিতম্বি ও হাঁকডাক! 
যেন সারা না দিলে দোকান হবে এক্ষুনি ফাঁক!! 
মেজাজী দোকানীর নেইকো হেল-দোল! 
উল্টে ঝাঁঝিয়ে উঠলো বাজিয়ে ঢোল!!
একবার, দু'বার লক্ষ্য রেখে
তিনবারেতে উঠলো দাপুটে হেঁকে! 
মস্তানী ছেড়ে সোজা লাইনে দাঁড়ান ! 
ভদ্র বেশী খদ্দেরের হাতটি বাড়ান! 
সত্যিই যদি হিম্মতওয়ালা মস্তান হতেন, 
তো বাড়িতেই বউকে দিয়ে রুটি বানিয়ে নিতেন!!

                   *************

কোন মন্তব্য নেই: