“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০২০

আমি ভালো আছি




















(ভারভারা রাও -কে নিবেদিত)


জীর্ণ আকাঙ্খার স্তুপে
দীর্ঘ শিকল প‍্যাঁচিয়ে মানচিত্রের উপরে পা
ভর করছে ব‍্যাবিলনের শূণ্যদ‍্যান।

আমি জানি শব্দের মাদকতা
মাকড়সার জালের মতো
আর আমার জিভটা ও চিবুকের নীচে জ্বলতে থাকে
ভেজা বৃষ্টিতে অশ্রুময় যন্ত্রণায়
শুকিয়ে যাওয়া জিভ এক একটা মিসাইল
গান হয়ে ধ্বনিত হয় 
ঐ শিশুর পৌড় হাসি মুখে

তাইতো ওরা সঙ্কুচিত
থামাতে চায় কন্ঠের বুলেট।
বেড়ি পরায় 
সাহস কে পিছনে রেখে 
ঝাড়ুদার!


কিন্তু কবির শব্দগুলো 
অক্সিজেন পায় অজস্র মানুষের ফুসফুসে
চ‍্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ালগুলো
কন্ডোম-পিতা সন্তানদের প্রতি
অন্বেষণ -- স্টেথোস্কোপ হাতে নিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই: