“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০২০

নবজাগরণের পাঠশালা

 
              ।। আ,ফ,ম,  ইকবাল॥


(C)Image













নিজেরই অজান্তে 
সঞ্চয় করে রেখেছিলাম একদা  
এক ফালি রোদ্দুর 
এক মুঠো জ্যোৎস্না 
আর এক বুক ভালোবাসা ।
কে জানতো  
ফুরিয়ে যাবে তা এতো শীঘগির 
এক অদৃশ্য প্রকৃতির অভিশাপে !   

পেণ্ডুলামের দোলায় দুলছে যে জীবন 
কে জানে তার আয়ু আর কতক্ষন 
শেষ হয়ে আসছে সকল আয়োজন 
বিন্যাসের সুক্ষ্ম তারে 
জড়িয়ে ছিল যে রসটুকু 
তা ও নিচ্ছে চুষে চুষে 
সময়ের বিভৎস তাণ্ডব ! 

জানিনা কখন বৈশাখ এসেছিল 
কোন ফোঁকর দিয়ে চলে গেছে 
জৈষ্ঠ্য আষাঢ়, কোন নিমগ্নতায় 
শ্রাবণও দিয়েছে হস্তাক্ষর, 
গহীন কালো চোখে 
তিনশো পাওয়ারের চশমা দিয়েও 
চারপাশ দেখছি শুধু কালো 
বিস্ময় ভরা হিয়ায় 
তাকিয়ে রয়েছি 
খোলা আকাশের দিকে- 
কোথায় হারিয়ে গেলো রাজহংসগুলো ! 

এরপর একদা ফের 
হয়তো আবার ভাস্বর হবে 
শুভ্রতার প্লাস্টার দিগন্ত ব্যাপি 
ফুটবে আলোক দিকে দিকে 
ফিরে আসবে মানুষ মানুষের কাছে 
হবে ফের সোসিয়াল কন্টেকটিং 
শতাব্দীর বুকে রয়ে যাবে একটি দাগ 
কালো তিল হয়ে ! 

ফুটবে ফের 
নবীন উদ্যানে রকমারি কুসুম 
বাসনা আবার 
যদি টিকে থাকি- 
দেখে যাবো শেষ পথ-শ্রমিকের 
ফুটফুটে বাচ্চাটিও 
পিঠে ধ্রুপদী ব্যাগ লটকিয়ে 
যেতে শুরু করেছে 
নবজাগরণের পাঠশালায় ! 
                ১৮-০৭-২০২০

কোন মন্তব্য নেই: