“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১ মে, ২০১৯

খা গ ত র্প ণ

।। অশোকানন্দ রায়বর্মণ।।
(C)Image:ছবি















লমে সৃজন হয় ৷ মসীতে রক্ত ঝরে ৷ খাগবিন্দু ঘামের আলপনা ৷কলম যে হৃৎশ্রমের হাতিয়ার ৷ কলমের অগ্রভাগে ভেসে ওঠে যে নির্মিতি, অক্ষরের অলংকারে জেগে ওঠে যে নন্দন, সেতো অন্নস্বপ্ন ৷
আগত সন্ততিজীবন ও অষ্টপ্রকোষ্ঠের নবদ্বারের বাঁধুনির মৃদঙ্গদেয়াল ঘিরে যে ঘর্মাক্ত আলপনা সে যে মেধার গঙ্গামৃত্তিকা ৷ এ সুলক কেবল মসীশ্রমিকই জানে ৷
কলমও নির্মমরাজের বিপরীতে আওয়াজ তোলে ৷ স্লোগান রচনা করে ৷ কলম ঊষার আকাশে গায় জাগরণীগান ৷
কলমের মাধুকরী আর কর্মজীবীর মোটাভাতের গন্ধ এক ৷ আশ্চর্য নীবার ৷ খাগের অন্তরে নীরবে বাজে হাতুড়িধুন ৷ কাস্তেকিঙ্কন ৷
কলমের নিবেদন শুভকালের প্রত্যাশায় ৷ কলম তখনই আয়ুধ যখন ক্রোধ কুসুমিত হয় কৃষ্ণচূড়ার আগ্নেয়শাখায়
৷ যদি কোনো হন্তারক ক্রুশকাঠের মতো  কলমকে বয়ে নিয়ে যায় বধ্যভূমির দিকে ৷ সম্মিলিত কলমমজুরেরা দাঁড়িয়ে যায় কলমের চারপাশে ৷ ভীরু হন্তারক পেছনে সরে যায় ৷
মসীমজুর কলমের কল্পনায় আঁকে ভুবনপাহাড়ের খোলা আকাশ ৷ লিখে যায় শিল্পগ্রামের অমৃতকবিতা ৷ জীবনীশোধক কবিতা ৷
প্রতিটি মসীজীবীও শ্রমিক ৷ অন্নগন্ধ কিংবা সৃজনসৌরভ তারও শরীরের মোক্ষম চলাচল ৷ রক্ততঞ্চন ৷ প্রতিটি মে-দিন তার জরুরি উদযাপনের দিবস ৷ শব্দশ্রমিকের দৃঢ়আঙুল জাগবার দিন ৷ অনিবার্য পালনেই তার সম্মান ৷

কোন মন্তব্য নেই: