“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০১৯

পাঠশালার সেই দিনগুলো

             ।।   রফিক উদ্দিন লস্কর।। 

(C)Image:ছবি









ছোট্টবেলা সবার সাথে নিত্য যেতাম স্কুলে
বই খাতায় ঠাসা ব্যাগ থাকতো পিঠে ঝুলে।
বাড়ির পাশে স্কুলটা ছিলো গ্রাম্য পরিবেশ
হাসিখুশিতে সময় যেতো দুঃখের নাহি লেশ।
দলবেঁধে যাওয়ার সময় আম জামের বনে
দেখতাম খুঁজে কোন ফলটা পেকে টনটনে।
যাওয়ার সময় কোনদিন হয়ে যেতো দেরি
গুরুজি তখন রাখতেন যে বেঞ্চে খাড়া করি।
কানে ধরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নাহয় হাঁটুমারা,
সময়মত আসতো যারা হাসতো কিন্তু তারা।
কেউবা কাঁদতো কষ্ট পেয়ে কেউ হতো লাল
মিষ্টি হেসে বলতেন গুরু দেরি করোনা কাল।
বিকেলবেলা খেলা হতো ডাংগুলি আর বল
সন্ধের সময় বাড়ি ফেরে খেতাম কতো জল।
পড়ায় বসে মাঝে মাঝে চোর পুলিশ খেলা
ভাই বোনদের সাথে ছিলো ভাব কিন্তু মেলা।
বাবা এসে ঘরের পাশে একটা কাশি দিলে
তাড়াতাড়ি পড়তে বসতাম তখন সবাই মিলে।
বছর শেষে লেখাপড়ায় চালিয়ে দিতাম কল
পরিক্ষা দিয়ে আনতে যেতাম তারই ফলাফল।
ভালোই হতো পরিক্ষার ফল নাম্বার হতো এক
বাবা তখন স্কুলে গিয়ে পেপার করতেন চ্যাক।
বাবার ছিলো একটাই স্বপন ছেলে বড়ো হবে
দেশ দশে একদিন ছেলের গুণের কথা কবে।

কোন মন্তব্য নেই: