“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯

ভাঙা ফ্রেম

।। অভীককুমার দে।।

চেনা গাছ,
পাতায় জড়ানো প্রেম
জমিয়ে রাখে কোটর।
পাখি আসে
বাসা বাঁধে,
বাইরে মুক্ত উঠোন,
মুক্তির সুখ।

পাখিরা স্বাধীন
উড়তে জানে
বুঝে নিতে পারে বাতাসের গতি
রোদ মেখে নিলেই রঙিন সময়।

যদিও পাখিরা জানে না
মুক্তির উঠোন হিংসামুক্ত নয়,
কালো মেঘ আসে
হিংস্র চোখ
ঠিকরে বেরোয় আগুন,
গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে যখন
দিশা হারায় বাতাস
ঝড় ওঠে
বৃষ্টি হয়
বরফ ঝরে।

রঙিন ডানা ভিজে গেলে
ভীষণ ব্যথা হয় বুকে।
পথ ঘুরে যায় শিকারীর দিকে,
অসহায় পাখি
কাঁপতে থাকে,
নির্বাক চেয়ে থাকে গাছ।

কোন মন্তব্য নেই: