“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯

সংসার

।। অভীককুমার দে।।


(C)Image:ছবি



















১.
স্বামী স্ত্রীর কোনও শিক্ষাঙ্গন নেই,
তবু একটি উন্মুক্ত পাঠশালা গড়ে তোলে সংসার,
নতুন আসবাবের গন্ধ
হৃদয়ে অগোছালো কক্ষ এবং পাঠ্যক্রম।
২.
যেদিন কোনও স্ত্রী মা হয় কারো
ভারবাহী পিঠ বেয়ে বুকের দিকে বাবা।
দায়িত্ব বাড়ে,
কর্তব্যগুলো মাথাচাড়া দিলে নতুন পাঠ
অতিক্রমের পর মা ও বাবা গবেষক।
৩.
এসময় প্রযুক্তির, সংসার একটি বাজার,
প্রযুক্তির সংসার বাজারে
কেনাবেচা হয় সম্পর্ক।
৪.
ক্রমপাঠের পর
পেট চিরে বেরিয়ে আসছে অপরিচিত কেউ
তার সাথে জন্মসূত্র মিলিয়ে দেখা ঠিক নয়,
একটি শিশুপথ আদালতের দিকেই হাঁটছে।
৫.
পাঠের ফসল যদি আদালতের দরজায় এবং
বিচ্ছেদপত্র পেলে সম্পর্ক ভোলা যায়
তবে মানুষ পুতুলে সং-সার হবে না কেন ?

কোন মন্তব্য নেই: