“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৫

জন্মের প্রাগঐতিহাসিক ক্ষণ

নীলদীপ চক্রবর্তী ॥









ভিসুভিয়াস বিস্ফোরণের দিন কী তোমার জন্ম ?
সেতো আমার জন্মের অনেক আগে !
তাই বুঝি তোমার বুকের উষ্ণতায়
পাখির ডিম বিয়নো যায়
তবে কেন অসম প্রেম তাপের অভাবে যেতে চায়
চাপা পড়ে , আগ্নেয়গিরির লাভার নীচে?

সওদাগর যখন হাজার মাণিক নিয়ে সমুদ্র যাত্রা করে
সেদিন কী তোমার জন্ম ?
সেতো আমার জন্মের অনেক আগে !
তখন ঝাঁকে ঝাঁকে জলদানবের আক্রমণে
ডিঙা সব ডুবে যায়, একটি ভাসে
সে ভাসমান ডিঙায় কোজাগরী রাতে
লাবণ্যের গর্ভ থেকে তুমি প্রক্ষিপ্ত বা ভূমিষ্ঠ হলে
অসম প্রেম সে জলের নীচে প্লাবনের আশায় চলে

সেদিন উষ্ণ পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের স্পন্দন জাগে
প্রথম উদ্ভিদের সাথে সেদিন তোমার জন্ম হয়
আমার জন্মের অনেক আগে ।
তাইতো তোমার জানুতে মৃত্তিকার সোঁদা গন্ধ হয়ে থাকে
মুখের খুব কাছে ঝুঁকে পাই
পৃথিবীর ফোঁটা প্রথম কলির সৌরভ ।
অসম প্রেম মৌমাছি সেজে সেই কলির ওপর বসে
তোমার জন্মদিনে

আমার জন্মের অনেক আগে !    

কোন মন্তব্য নেই: