“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৫

ব্রাত্য

॥ নীলদীপ চক্রবর্তী ॥













 





মরা সাহিত্য সৃষ্টির পর
অপেক্ষা অন্য বাংলার মুখ চেয়ে
তাঁদের স্বীকৃতিতে প্রস্ফুটিত হয়
আমাদের কাব্য গল্পের সলজ্জ প্রতিভা ।

তাঁরা সাহিত্য বাসরে এলে
আমাদের সজাতীয় গর্ব ফেঁপে ওঠে
পরিচ্ছন্নতা বলতে তাঁরা খুঁটিয়ে দেখেন
মোহন-বাড়ি বড়ঝার আর
কুম্ভীরগ্রামের ঝাঁ চকচকে পথটি
সুনীল শীর্ষেন্দু জয় গোস্বামী বলে আমি থামি,
হাততালি কুড়ই !
আবার বিপন্ন বিস্ময়ে দেখি
সঞ্জয় দেবলীনা বা চিরশ্রীর
নামোল্লেখে অজ্ঞ সহবাসীদের
কুঁচকানো চোখ নাক !

ঈশানের স্বজাতি নিয়ে
আমি শঙ্কিত পথ হাঁটি
ব্রহ্মপুত্র গদাধর ডিহিঙ আর বরাকের
অন্ধকার তীর ধরে ।

প্রতি পক্ষকালে খড়কুটোর মতো
ভেসে যেতে থাকে, নূতন সেতুর নিচে
আমাদের সাহিত্য বৈঠক !


কোন মন্তব্য নেই: