“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

রোবট

















(বিমলেন্দ্র চক্রবর্তীর এই কবিতাটি উজান সাহিত্যগোষ্ঠী , তিনসুকিয়া আয়োজিত 'শুধু কবিতার জন্য' ২০১৫তে ক বিভাগে দ্বিতীয় পর্বে মনোনীত। তাই এখানে তুলে দিলাম। ---সুশান্ত কর )

মা বললেন , না
নোট যা পাবি কাউকে দিবি না
স্যারও বলেন তাই
যা দিয়েছি লুকিয়ে রাখিস তাই
বাবাও       বলেন অনেক হাবিজাবি
সবার সাথে মিশলে কিন্তু নষ্ট হয়ে যাবি।

আমার সকাল এমনি করেই ঝাপসা হয়ে যায়
স্বার্থপর এক দত্যি এসে ঢূকল আমার গায়।

এমনি করেই যাচ্ছিল দিন এমনি করেই রাত
লেখায় পড়ায় বীর বাহাদুর করছি বাজিমাৎ
বাবা বললেন, সাবাশ ব্যাটা , মা বললেন বেশ
তোর গর্বে হাসব মোরা নাচবে সারা দেশ।

যোগ-বিয়োগের অঙ্ক কষে ভাঙতে ভাঙতে সিঁড়ি
আমার ভেতর আমি কেমন হলাম রে বিচ্ছিরি।
খাচ্ছে মনন খাচ্ছে মেধা খাচ্ছে সবুজ মন
দত্যি আমার হাড় চিবিয়ে খাচ্ছে সারাক্ষণ।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে আয়নাতে ওই পাশে
দাঁড়িয়ে গেলাম শ্রীমান আমি একুশের বেশবাসে
আমার দেখে হঠাৎ আমি ভিরমি খেয়ে যাই
একটা রোবট স্থির দাঁড়িয়ে , আমার মতো , তাই।

কোন মন্তব্য নেই: