“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৫

ইতিহাসে নেই






(শক্তিপদ ব্রহ্মচারীর এই কবিতাটি উজান সাহিত্যগোষ্ঠী , তিনসুকিয়া আয়োজিত 'শুধু কবিতার জন্য' ২০১৫তে ক বিভাগে দ্বিতীয় পর্বে মনোনীত। তাই এখানে তুলে দিলাম। ---সুশান্ত কর )

ক যে ছিল রাজা
তার হাতে পায়ে হাজা
দিঘি ভরা জল ছিল তার
কাকচক্ষু মাজা
রাজার যে এক রানি
যেন লক্ষ্মী ঠাকুরানী
মাথায় উকুন
গায়ে খড়ি
 পরনে তার কানি
রাজা-রানির পুত্র
পাগল হলো শিখতে গিয়ে
ব্যাকরণের সূত্র
সেই দেশে রাজকন্যা
বহু  গুণোপন্না
বছরেতে নটার বেশি কথা তিনি কন না
রাজার প্রধান আমলা
ভাত খেতো তিন গামলা
সোনায় মোড়া পাগড়ি মাথায়
গায়ে হলুদ শামলা
সোয়া লক্ষ প্রজা রাজার
পঞ্চহাজার লস্কর
কেউ বা খুনে কেউবা ডাকাত
কেউ বা শুধু তস্কর
এমন দেশটি কোথায় আমি
খুঁজতে গেলাম যেই
কেউ জানে না হদিশ তাহার
ইতিহাসেও নেই।

কোন মন্তব্য নেই: