“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২২ জুন, ২০১৮

বারবনিতা

।। সুপ্রদীপ দত্তরায়।।
(C)Image:ছবি














মন করে ডাকবে নাতো আর
সুখের তরে ঘর যে বাঁধা আমার 
ঘর তো নয় স্বপ্নবিলাস
দেওয়ালগুলোয় কুসুম তোলা
কোণায় রাখা ফুলদানিটা --
বিদেশী সব, অনেক দামী 
বেলজিয়ামে সেবার গেছি ---
কোম্পানিতে গিফট পেয়েছি,
আকাশটাতো স্বপ্ন দিয়ে ভরা ;
সেই স্বপ্নগুলো তারার মধ্যে  রাখা ।
সবই আমার নতুন আবিষ্কার ।
অমন করে ডাকবে নাতো আর ।
এখন আমার বাউণ্ডুলে ইচ্ছেগুলো 
লতার মতো বাড়ে ।
শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শূন্যে ঝুলে ।
স্বপ্নগুলো ফুলের মতন
রঙিন ভীষণ কোমল গড়ন নজর কাড়ে ।
আবেশ দিয়ে বিভোর করে ইন্দ্রজালে 
এই সবই আমার নতুন আবিষ্কার ।
অমন করে ডাকবে নাতো আর ।
কেউ বলে আমি বাজে মেয়ে, অর্কিড 
আমি বলি তাতে তোমার  কী ভাই
তুমি তো জানো না, ইন ডিড --
আমি তো তাই হতে চাই।
আমি তো পরগাছা হই, হাঁড়িচাছা
পরের রক্ত শুষেই আমার জীবন বাঁচা 
আমি চাই দেখুক সবাই, আমার এই রূপ 
হিংসে করুক, অবাক চোখে  আগুন জ্বালুক 
কামনার লোলুপ ঠোঁটে লালসা ঝরুক ।
প্রতিদিন নতুন রূপে খুঁজবো আবার 
নতুন করে আপনারে করব আবিষ্কার ।
অমন করে ডাকবে নাতো আর ।
কী বললে , ভালবাসো ?
ভালবাসার কী ছাই বোঝো 
জানো কি তা কীসের সংমিশ্রণ ?
ভালোবাসতে কী চাই জানো ?
একটা ভালো বাড়ির প্রয়োজন ।
ভালো একটা বাড়ি চাই, সাথে একটা গাড়ি
যখন তখন দিতে হবে সুদূর বিদেশ পাড়ি
সেইজন্যেতে  থাকা চাই পকেট ভীষণ ভারী ।
এই কাঁধে ঝোলা, চোখে চশমা উদাস করা চোখ 
সে চোখেতে কাব্য মানায়, স্বপ্ন দেখায় 
কালির কলে তুফান তুলে বিবেক জাগায় 
ভালবাসা জাগায় না যে , ঘামেই ভিজে বুক।
এ আমার অভিজ্ঞতা, নিত্যদিনের তিক্ততা 
আমার অভাব মনের আতুর ঘরে 
চোখের জল আর রুক্ষতা 
আমার সকল তিরস্কার ।
আমার নতুন আবিষ্কার ।
অমন করে ডাকবে নাতো আর ।


কোন মন্তব্য নেই: