“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮

মায়ামেঘের দেশে

।। অভীক কুমার দে ।।
(C)Image:ছবি












কেউ লিখতে থাকে কেউ পড়বে বলে !
কী পড়বে ? কেন পড়বে ?
কেউ পড়বে বলে
যদি মনের সুতো ছাড়ে কবিতা
যদি ভাবনার ঘুড়ি ওড়ায় গল্প
কোনো উপন্যাসের ভেতর যদি
নিজেকেই খুঁজতে থাকে বিবেক
তবে স্বয়ং তিনি অহম্,
পাঠক তিনি নিজের এবং অভুক্ত নন তিনি।
সাধক তিনি জানেন না--
একেকটা দিন চেয়ে থাকে কতগুলো উপোষী মুখের দিকে,
দুচোখে ক্ষুধার্ত ঘনকালো রাত,
অবক্ষয়ের ছায়াপথ
 
মায়ামেঘে কত আর ডুবে ডুবে শেষ হবে তারা
যেখানে আকাশের শূন্য কেবল নীল হতে থাকে !
কেউ লিখতে থাকে কেউ পড়বে বলে !
কেমন লেখা ?
খাওয়া যায় ? পেট ভরে ?
কেউ পড়বে বলেই তো
কত বাড়ির কতজন কত কত উপোষ থেকেছে,
পড়তে পড়তে কতগুলো কাগজের টুকরো
বয়সের সাথে ভারী হয়
কোনো কাজেই আসে না !
পড়ুয়াকে আবারও পড়তে হয়,
পড়তেই হয়...
তবু নিশ্চিত খাবার জোটে না।
কথাব্যাপারীরাও ঐ মুখেই ছুঁড়ে মারে নকল শব্দ !
উপোসী মুখ মানেই কি শব্দের গবেষণাগার ?
তবে জেনে রাখুন গবেষক
সব শব্দ শোনা যায় না, লেখাও যায় না,
তপোমন জানে, নিঃশব্দেও শব্দ আছে মায়ামেঘের দেশে।


কোন মন্তব্য নেই: