“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১২

গোলাপ ও অন্যান্য চরিত্র

(C) Image: ছবি -Fabiana Cunha





















নিতান্তই প্রেম কিংবা অন্য কোনো সুপ্ত রোগ
হটাত খামচে দিল বলে ...
বৃদ্ধ হতে বাধ সাধলো বহুকাল পুরনো গোলাপ
ভোর রাতে একদল আত্মঘাতী কবিতা 
ফিসফিসে ঘোষণা করলো
 হিরোসিমা ....

তখন  
আমার সমস্ত পাজর নিংড়ে 
একফোটা বৃষ্টির চুমু 
দধীচির ঈর্ষা জাগালো ..

অবারিত সুশ্রী তোমার অবয়বে .. 
আমার কুচকে যাওয়া চামড়ায় ছোঁয়া 
দখিনের জানলা জড়ানো বটগাছের কোনো এক 
বিক্ষিপ্ত আগাছার সামিল ..

শোনা গেল কবিতার মৌনতা 
মাপা যায় ডেসিবেল এ ..
আর আমার পাজর নিংড়ানো 
ফোটা কয়  বৃষ্টির চুমু 
মিশে গেল দধীচির দেহে।

ডাক  দিয়ে বিদ্যুত শুধু 
রাত রাত রাতের আলোচনা 

পাজরটা ডাক দেয় আমায় 
 গোলাপের হোক হিরোসিমা।

কোন মন্তব্য নেই: