“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

দামিনীর মৃত্যু অথবা আগুনের জন্ম

 মানত নামে ঘৃণাটা আর না ছড়ালে ও চলত,
কারুর আমানত নয় ,
খোলা আকাশে একমুঠো স্বস্তির নিঃশ্বাস,
 মানুষ পরিচয়ে বেঁচে থাকা,
দাবীটা কি বড্ড বেশী ছিল?
মাতৃগর্ভ থেকে সদর রাস্তা অথবা ফেসবুকের ভুবন,
বলির আয়োজনের বীভৎসতায় ,
সপ্তরথির উন্নাসিক চিৎকারে ,
বাঁচার আশায় শিশু অভিমন্যুর,
ব্যর্থ ডানা ঝাপটানো চক্রব্যূহের দোরগোড়ায় ।
সেই ভাবেই বেঁচে থাকাই যদি জীবন হয়,
তবে মা, নারী হীনতার অভিশাপ লাগুক এবার।
এমন পৃথিবী নিপাত যাক,
যেখানে নারীর গর্ভ থেকে জন্ম নেয়,
নারী মাংস খাদকেরা।

২টি মন্তব্য:

গল্পগচ্ছ বলেছেন...

অপূর্ব লেখা কবিতা ।

Chandrani the Dreams বলেছেন...

সে মিশে গেছে আমার চোখের জলে.. তাই কক্ষপথের অচেনা পথিক আগুনের আবাহনে।।