“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১২

বেঁচে থাকার বর্ণমালা


রোদ রোদ বিকেল, এক বুক গভীর নিঃশ্বাস,
দিগন্তের জানালায়, জ্বলুক টুপটাপ লন্ঠন চাঁদ।
আমি এঁকে যাব স্বপ্নের রামধনু টান ,
যতবার ও মুছে দিক না, সময়ের রুক্ষ ডাস্টার ।
আমার জলের খাতায় , কবিতার আঁশটে গন্ধ,
তোকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে শেখার গোপন আশ্বাস।
গীটারের ভাঙা তারে, জীবনের তান ,
ঝর-ঝর ঝরে পড়া মুহূর্তের ছিন্ন পাতায়।
সঞ্জীবনীর ম্যাজিক ছোঁয়ায়,
চোখ খুলুক এবার ঘুম-ঘুম রজনীগন্ধা ।
আবার বাঁচতে শেখা হোক না শুরু সেই ঠিকানায়, 
                                       যেখানে রাত্রি শেষে সূর্য ওঠে।

কোন মন্তব্য নেই: