“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১২

ওঁ মধু


                                                             ।।
শক্তিপদ ব্রহ্মচারী।।
  
সৌজন্য ঃমেঘ অদিতি





















বিষ্টি বিষ্টি অনাচ্ছিষ্টি ভেতরে তুলকালাম কাণ্ড
মেয়েমানুষ খেয়াল গাচ্ছে লোপাট হচ্ছে মধুর ভাণ্ড
সব শেয়ালের এক রা হুজুর মধুবাতা ঋতায়তে
নাগালয়ে মা ভবানী বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে
হরি তোমার ওপার লীলা তুমি মধু কৈটভারি
"কে ওখানে?" "আমি হুজুর, শক্তিপদ ব্রহ্মচারী।"

নখদন্তবিহীন এবং বারোমাস নিরামিষাশী
সচ্চরিত্র বামুনের পো গুণ করেছে সর্বনাশী
আত্মচরিত লিখব এবার সহস্র রুধিরের ফোঁটায়
চুমু খাওয়ার শর্ত ছিল, ঠোঁট ঘষেছি বুকের বোঁটায়
ইন্দিরাজি দিল্লি থেকে হিন্দি শেখায় সস্তা দরে
কিলোখানেক তা-ও কিনেছি জাতীয় সংহতির ডরে
হুজুরের রাজত্বে করি খুশমেজাজে চৌকিদারি
"কে ভেতরে?" "আমি হুজুর, শক্তিপদ ব্রহ্মচারী।"

ইকিড় মিকিড় ফন্দি ফিকির যা কড়ি মন্তরের গুণে
শ্রীখোলে রবীন্দ্রগীতি কীর্তনিয়া নেড়া বুনে
হুজুর এবার ঢাকি হবেন, আমরা হব ঢাকের কাঠি
নব্যসমস্কৃতি বিনা সব শালা খেজুরের আঁটি
গণ্ডাখানেক চণ্ডী পেলে একটু ঠান্ডা হতে পারি
ছিচরণের দাসানুদাস শক্তিপদ ব্রহ্মচারী।

(অনুলিপিঃ Prabuddhasundar Kar)

কোন মন্তব্য নেই: