“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১২

মেক্সিকোয় গডজিলা


















ন দিয়ে শোনো আমার সোনামনিঃ 
মেক্সিকো সিটিতে তখন বোমা পড়ছে
কিন্তু সেটা কেউই খেয়াল করছিলো না।
বিষ বয়ে নিয়ে যাওয়া বাতাস 
ছড়িয়ে যাচ্ছিল সব রাস্তায় আর খোলা জানালায়।
তুমি তখন সবে মাত্তর খাবার শেষ করে
টিভিতে কার্টুন দেখছিলে।
পাশের বেডরুমে বই পড়তে পড়তে
হঠাৎ খেয়াল হল এই রে,আমরা মারা যাচ্ছি
গা গুলানো বমি ভাব আর মাথা ঘোরা সত্ত্বেও
নিজেকে টেনে হিঁচড়ে রান্নাঘরে নিয়ে গেলাম
দেখলাম তুমি শুয়ে আছো মেঝেয়
একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলাম আমরা।
জানতে চাইলে তুমি কী ঘটছে
বললাম না যে মরণের অনুষ্ঠানে শামিল হতে যাচ্ছি
তা পাল্টে বললাম আমরা বেড়াতে যাচ্ছি।
একসঙ্গে,আরেকটিবার,ভয় পেওনা সোনামণি।
সব থেমে যাবার পর,মরণ আমাদের চোখ বুঁজিয়ে দিতে পারেনি।
আমরা কিএকহপ্তা বা বছর পরে তুমি জানতে চাইলে,
পিঁপড়েমৌমাছি নয়তো ভুল সংখ্যা
কদাকার এই সম্ভাবনার সেদ্ধ ঝোলে?
আমরা মানব সম্প্রদায়,খোকা আমার,প্রায় পাখীই যেন,
সার্বজনিক নায়ক এবং অন্ধিসন্ধি।
 
                            **************

( এক চরম ভবঘুরে কবি ছিলেন চিলির রোবার্তো বোলানো। বেসামাল। উদ্দাম জীবন কাটিয়েছেন। পরে একসময় জীবনে থিতু হন। ওর একটা কবিতা ইংরিজি-স্প্যানিশ থেকে অনুবাদের দুঃসাহস করলাম। জানিনা আপনাদের কেমন লাগবে। খানিকটা ভাবানুবাদ আর বাকিটা গুগল ট্রান্সলেট দিয়ে স্প্যানিশ বোঝার চেষ্টা। ফাঁকিবাজিটা স্বীকার করলাম। আর হ্যাঁ, উপরের ইলাস্ট্রেশনটা আমার। দুতিনটে ফটো এদিক-সেদিক থেকে জুটিয়ে ফটোমাস্তানি করেছি। ছবির কবিতাটা আসল স্প্যানিশে )

কোন মন্তব্য নেই: