(C)Image:ছবি |
।।মিফতাহ উদ-দ্বীন।।
আসরের নামাজ শেষ। কেউ নিজের বাড়িতে, কেউ স্থানীয় বাজারের দিকে আর কেউ বা নিজের ছোট্ট ক্ষেতের জমিতে। আলো আধারের এক সংক্ষিপ্ত কুশল বিনিময়। দিন তাঁর সমস্ত ক্লান্তি মুছে ধীরে ধীরে ছুটছে রাতের দিকে আর রাত এগিয়ে আসছে দিনকে আলিঙ্গন করতে। এক সংক্ষিপ্ত অথচ এক নিবিড় আলিঙ্গন। দুজনেরই মুখে এক অনাবিল হাসি। আপন প্রভুর হুকুম পালন করতে পেরে যেন কৃতজ্ঞতায় নত দুজনই।
কচিকাঁচারা নানান রকমের গ্রাম্য খেলায় মত্ত। ঠিক তখনই মসজিদ থেকে ভেসে আসে
ইমাম সাহেবের শান্ত, গম্ভীর কন্ঠ। মবারকপুর নিবাসী অমুকের মেয়ে অমুক ইন্তেকাল করেছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।!!
মিনিট দুয়েকের জন্য জীবন থেমে যায় আমাদের ছোট্ট গ্রামে। আর তারপরই ছোটরা
আবার ও ফিরে যায় নিজ নিজ খেলায়। ক্ষেতে থাকা মানুষটি ভালো করে পেঁচিয়ে দেয়
বাড়ন্ত লতা টিকে বাঁশের ডালে। চাল নুন নিয়ে তাড়াহুড়ো কারুর। মাগরিবের সময়
হয়ে এলো বলে।
মাগরিবের নামাজ শেষে ওদের বাড়ি হয়ে এলাম। মৃতের বাবা আমার সম্পর্কিত ভাই। সেই হিসেবে মেয়েটি আমার ভাতিজি। আমার মায়ের ছাত্রী। বয়স পঁচিশ/ছাব্বিশ হবে। তিন বছরের একটা ছোট্ট ছেলে ও আছে শুনলাম। ক’মাস আগে গিয়েছিলাম খবরাদি নিতে মসজিদের এক সাথীকে নিয়ে। তখনই শুনতে পেলাম মেয়েটির ক্যান্সার হয়েছে। ওই দুঃখী পিতাটি আমাকে দেখে আরও দুঃখী হয়ে গেলেন। আমার বোনের কথা ওঠালেন। আর তারপর দুজনই কিছুক্ষণ বোবা হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
ফেরার পথে বুক ভারী হয়ে এলো। মসজিদের পাশের কবরী স্থানে এসে আর ধরে রাখা গেল না। অঝোরে পানি ঝরিয়ে পড়লো দু গাল বেয়ে। হাত ওঠালাম আমার রবের কাছে। আর একে একে সব কবরবাসীর কথা মনে পড়তে থাকলো। আমার বোন, আমার দাদা, আমার দাদী, চাচা, ফুফু আর গ্রামের আরও অনেকের। এ এক অকৃত্রিম অনুভুতি, এক অকৃত্রিম চাওয়া। আমি, আমরা, আমরা সবাই একদিন চলে যাবো। কেউই থাকবো না। বাকি থাকবেন শুধু তিনি, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ।
২০/১০/২০১৪
মাগরিবের নামাজ শেষে ওদের বাড়ি হয়ে এলাম। মৃতের বাবা আমার সম্পর্কিত ভাই। সেই হিসেবে মেয়েটি আমার ভাতিজি। আমার মায়ের ছাত্রী। বয়স পঁচিশ/ছাব্বিশ হবে। তিন বছরের একটা ছোট্ট ছেলে ও আছে শুনলাম। ক’মাস আগে গিয়েছিলাম খবরাদি নিতে মসজিদের এক সাথীকে নিয়ে। তখনই শুনতে পেলাম মেয়েটির ক্যান্সার হয়েছে। ওই দুঃখী পিতাটি আমাকে দেখে আরও দুঃখী হয়ে গেলেন। আমার বোনের কথা ওঠালেন। আর তারপর দুজনই কিছুক্ষণ বোবা হয়ে দাড়িয়ে রইলাম।
ফেরার পথে বুক ভারী হয়ে এলো। মসজিদের পাশের কবরী স্থানে এসে আর ধরে রাখা গেল না। অঝোরে পানি ঝরিয়ে পড়লো দু গাল বেয়ে। হাত ওঠালাম আমার রবের কাছে। আর একে একে সব কবরবাসীর কথা মনে পড়তে থাকলো। আমার বোন, আমার দাদা, আমার দাদী, চাচা, ফুফু আর গ্রামের আরও অনেকের। এ এক অকৃত্রিম অনুভুতি, এক অকৃত্রিম চাওয়া। আমি, আমরা, আমরা সবাই একদিন চলে যাবো। কেউই থাকবো না। বাকি থাকবেন শুধু তিনি, মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ।
২০/১০/২০১৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন