।। পার্থঙ্কর চৌধুরী।।
(C)Silchartoday.com |
‘গঞ্জ-শহর’ থেকে এ শহরে উনি এসেছেন, হাতে গুনা কয়েক দিন হলো। চাকরির সুবাদেই এ শহরে আসা।
শপিং-মল-এ বাজার করাটা হাল আমলের ফ্যাশন। ধোপ-দুরস্ত শার্ট-পেন্ট গায়ে চাপিয়ে ‘বেটার হাফ’-কে সঙ্গে নিয়ে গেছেন, বাজার করবেন বলে। এক-তলা-দু-তলা-তিন-তলা, সিঁড়ির ডানে-বায়ে বিভিন্ন রকমের পশরা। একই ছাদের তলায় রেল-ইস্টিশনের মত এতো বড় দোকান আগে স্বচক্ষে দেখেন নি। জিনিস-পত্র সর্বত্রই আছে, কিন্তু কর্মচারীর সংখ্যা নেহাতই নগন্য।
অমন সুযোগ কি বার বার আসে...?
তিনতলার এক কোনায় সারি করে দামি দামি বড় বড় সব ‘এয়ার-ব্যাগ’ রাখা। চটজলদি একটা ব্যাগ হাতে নিলেন। ডানদিক, বাঁদিকে কেউ নজরে পড়ছে না। তাড়াতাড়ি ব্যাগের সব স্টিকার ছিঁড়ে ফেললেন। “এবার তো এটা আমারই”, “বাড়ি থেকেই তো নিয়ে এসেছি, বাজার করব বলে...”। নিজের মনটাকে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন ভদ্রলোক।
ঘরকন্নার আর টুকিটাকি দশ-পাঁচটা জিনিস ওদিকে দোতালায় পছন্দ করে রেখেছেন ভদ্রমহিলা। তিন-তলা থেকে নামার পথে ওগুলো ব্যাগে পুরে নিলেন ভদ্রলোক। নির্দ্বিধায়...।
এবার পয়সা দেবার পালা। ব্যাগে থাকা জিনিস একটা একটা করে বের করে দিলেন। কাউন্টারের লোকটা যোগ করল। সঙ্গে ব্যাগের দামটাও। তাতে খদ্দের-মসাই তো চটে লাল। এটা কি ফাজলামো ? বাজার করব বলে ব্যাগ-টা তো আমি বাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছি...।
অল্পক্ষনের মধ্যেই লোকজন জমা হয়ে গেলো।
হচ্ছেটা কী? ব্যাপারটা তাহলে কী ? শপিং মলে আসা টা কি তাহলে...!
আর ওদিকে ভদ্রমহিলা...! ??
আরও একটু সময় যেতে না যেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লোকেরা এলেন।
এদের একজন সি-সি-টি-ভি-র কন্ট্রোল লাবে নিয়ে গেলেন। ঘটনা প্রবাহের ‘রি-কেপ’ দেখলেন, দেখালেন ভদ্রলোক-বেশী খদ্দের-কেও...!
এরপর...?
এরপর যে কি আর হোল, তা আর জানা গেলো না। যে যার পথে এদিক- ওদিক বেরিয়ে গেলো।
বেরিয়ে আসার পথে মলের স্পিকার-এ “হৃদ-মাঝারে”-র সুরে গান-টা বেশ বেজেই চলেছে.........
“তোমায় বিগ-বাজারে রাখবো,
যেতে দেব না,...
ছেড়ে দিলে এমন গ্রাহক
আর তো পাব না ...না... না...,
যেতে দেব না......!”
শপিং-মল-এ বাজার করাটা হাল আমলের ফ্যাশন। ধোপ-দুরস্ত শার্ট-পেন্ট গায়ে চাপিয়ে ‘বেটার হাফ’-কে সঙ্গে নিয়ে গেছেন, বাজার করবেন বলে। এক-তলা-দু-তলা-তিন-তলা, সিঁড়ির ডানে-বায়ে বিভিন্ন রকমের পশরা। একই ছাদের তলায় রেল-ইস্টিশনের মত এতো বড় দোকান আগে স্বচক্ষে দেখেন নি। জিনিস-পত্র সর্বত্রই আছে, কিন্তু কর্মচারীর সংখ্যা নেহাতই নগন্য।
অমন সুযোগ কি বার বার আসে...?
তিনতলার এক কোনায় সারি করে দামি দামি বড় বড় সব ‘এয়ার-ব্যাগ’ রাখা। চটজলদি একটা ব্যাগ হাতে নিলেন। ডানদিক, বাঁদিকে কেউ নজরে পড়ছে না। তাড়াতাড়ি ব্যাগের সব স্টিকার ছিঁড়ে ফেললেন। “এবার তো এটা আমারই”, “বাড়ি থেকেই তো নিয়ে এসেছি, বাজার করব বলে...”। নিজের মনটাকে এভাবেই আশ্বস্ত করলেন ভদ্রলোক।
ঘরকন্নার আর টুকিটাকি দশ-পাঁচটা জিনিস ওদিকে দোতালায় পছন্দ করে রেখেছেন ভদ্রমহিলা। তিন-তলা থেকে নামার পথে ওগুলো ব্যাগে পুরে নিলেন ভদ্রলোক। নির্দ্বিধায়...।
এবার পয়সা দেবার পালা। ব্যাগে থাকা জিনিস একটা একটা করে বের করে দিলেন। কাউন্টারের লোকটা যোগ করল। সঙ্গে ব্যাগের দামটাও। তাতে খদ্দের-মসাই তো চটে লাল। এটা কি ফাজলামো ? বাজার করব বলে ব্যাগ-টা তো আমি বাড়ি থেকেই নিয়ে এসেছি...।
অল্পক্ষনের মধ্যেই লোকজন জমা হয়ে গেলো।
হচ্ছেটা কী? ব্যাপারটা তাহলে কী ? শপিং মলে আসা টা কি তাহলে...!
আর ওদিকে ভদ্রমহিলা...! ??
আরও একটু সময় যেতে না যেতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের লোকেরা এলেন।
এদের একজন সি-সি-টি-ভি-র কন্ট্রোল লাবে নিয়ে গেলেন। ঘটনা প্রবাহের ‘রি-কেপ’ দেখলেন, দেখালেন ভদ্রলোক-বেশী খদ্দের-কেও...!
এরপর...?
এরপর যে কি আর হোল, তা আর জানা গেলো না। যে যার পথে এদিক- ওদিক বেরিয়ে গেলো।
বেরিয়ে আসার পথে মলের স্পিকার-এ “হৃদ-মাঝারে”-র সুরে গান-টা বেশ বেজেই চলেছে.........
“তোমায় বিগ-বাজারে রাখবো,
যেতে দেব না,...
ছেড়ে দিলে এমন গ্রাহক
আর তো পাব না ...না... না...,
যেতে দেব না......!”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন