“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯

আমি


কয়েকটা দিন থেকে ভাবছি --
একটা প্রশ্ন -- আমি কে?  কি পরিচয়?
ভাবনাটা অদ্ভুত বটে, তবে অবান্তর নয় ।
মনে সংশয় , নিরন্তর চাপা জিজ্ঞাসা,
কে আমি ? আমি কে হ‌ই।
জানার সেই চেষ্টা থেকেই 
যত সমস্যার শুরু ।
আমার যিনি গুরু, বললেন, বল তুই কে ?
বিনম্রে বলি, "আমি অমুকের ছেলে
ক্ষত্রিয় সন্তান ।" "সেতো এজন্মের সন্ধান ---। "
আমি থমকে দাঁড়াই, এজন্ম মানে ?
আরো জন্ম আছে তবে অন্য কোনখানে?
এক জন্মেতে এত জ্বালা ,
তায় জন্ম জন্মান্তরের পালা ----,
হে গুরু, একি শুভঙ্করী ধাঁধা
নাকি নতুন প্রহসন। যদি সত্যি হয়,
আমি তবে কে ? কি পরিচয় ?
কখন সৃষ্টি আমার? কিসে হবে লয় ?
এ জন্ম আমার আজ কত জন্মের ফল ?
কত জন্ম আরো যেন বাকি পড়ে রয় ।
আয়নাতে দাঁড়িয়ে দেখি নিজের সত্বাকে
কখনো খুঁজিনি যে, এভাবে নিজেকে
চুলচেরা কখনো করিনি বিচার ।
আমার মধ্যে যত ভাল মন্দ সব
সেতো অপরের মুখে নেওয়া
মিষ্টি বা ঝাল ।
বারবার ফিরে ফিরে তাকাই নিজেই নিজেতে।
যতদুর দৃষ্টি যায়, শুধু অন্ধকার,
আমার ভেতরে কে সে কুৎসিত, কদাকার।

কোন মন্তব্য নেই: