“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

দিদির দেশে


হচ্ছেটা কি
দিদির দেশে
আন্দোলন
আর হুড়ুস্থুল,
স্টেথো গলায়
ডাক্তারেরা
বেজায় পাকায়
গন্ডগোল।
যখন তখন
বন্ধ কাজ
গেটের কাছে
আন্দোলন,
মিটিং মিছিল
স্লোগান যেন
দিদির জন্যে
সুদর্শন।
বামঘেষা সব
কার্যকলাপ
কাজের কাজ
করছে না,
কেউ যদি এক
ছুঁয়ে দিল
ব্যস তবে আর
পারছে না।
রাজ্য জুড়ে
কোটি লোক,
কজন আছেন
ডাক্তার হে ।
কজন তাদের
মার খেয়েছে
হিসেবখানা
বুঝিয়ে দে।
তোরা ছাড়া
চলবে না তাই
ফন্দি ফিকির
বেশ এটেছিস।
লোকগুলো নয়
দিদির ঘাড়টা
নুইয়ে দিবি
পণ করেছিস।
দিদির সঙ্গে
পাঙ্গা নিস না,
দিদি ভীষণ
রাগ করে,
দিদির দেশে
দিদিই শেষ
আর বাকি সব
পোঁ ধরে।
রাস্তা ঘাটে
একসিডেন্ট
রোজ‌ইতো হয়
নয় কি বল ?
এই ঘটনাও
একসিডেন্ট
এই কথাটা
মেনে চল।
একটা দুটো
মারামারি
কোথায় কখন
হচ্ছে না।
তাই বলে দেশ
বন্ধ হবে,
এই ব্যাপারটি
মানছি না।
মারলো যারা
ভাবিস কি রে
সবাই ওরা
সুস্থ লোক,
দিদির মত
ওরাওতো সব
বদরাগী আর
চন্ডাশোক।
দিদি তো দেখ
মেয়ে মানুষ
কখন কি সব
বলে ফেলে,
তারপরে দেখ্
বুড়ি হয়েছে
মেজাজটাকেই
গুলিয়ে ফেলে।
ঘটলো যা তা
নিন্দনীয়,
একেবার‌ই
কাম্য নয়।
তাই বলে সব
ফাঁকি দিবি
এইটা কোন
কথা হয়।
এখন যারা
হাসপাতালে
ওদের কথা
ভাববি না ?
তোদের পক্ষে
ওরাও আছে
তাইতো কিছু
বলছে না।
দিদির কথায়
রাগ করিস না,
মাথার কি আর
ঠিক আছে ?
আরশি ভাাঙ্গছে
কুরশি ডাঙ্গছে
দল ভাঙ্গবে
চান্স আছে।
দিদির উপর
রাগ করিস না,
সময়টা তার
পক্ষে নয়,
এখন সে আর
আগের মত
পুরোপুরি
সুস্থ নয়।

কোন মন্তব্য নেই: