“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০১৯

কেদারনাথে, ৫ জুন


কেদারনাথে, ৫ জুন

শিবানী ভট্টাচার্য দে
----------------

কেদারনাথের পাহাড়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলাম সকালবেলা
সুনীল প্রেক্ষাপটে তুষারধবল শৃঙ্গ সদ্য আলোস্নাত
স্পষ্ট দেখলাম, ওখানে ধ্যানমগ্ন রজতগিরিনিভ মহেশ্বর
অর্ধমুদিত নয়নে তাঁর চোখের মণি নিচের উপত্যকার দিকে স্থির
তাঁর মাথার জটা থেকে নামছে মন্দাকিনী,
পায়ের ধারে চঞ্চলা সরস্বতীর মধুর মন্দিরা
অধিত্যকায় তাঁর গম্ভীর মন্দির, সামনে নন্দী,
পেছনে সেই রক্ষক বিশাল পাথরটি মন্দিরকে আড়াল করে---
অনন্ত জনস্রোত পার্বতী নদীর মতই বিসর্পিল
এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাচ্ছে,
তাদের আশা, অভিলাষ একমুখী আজ
ধ্যানী মহাদেবের  সঙ্গকামী।

স্তব্ধ দাঁড়িয়ে রইলাম পাহাড়ের মুখোমুখি অনেকক্ষণ---
সন্ধ্যায় যখন নামছিলাম পাহাড় থেকে
দেখলাম, শুভ্র পাহাড়ের মাথায় শিশু চাঁ
সূক্ষ্ম তার শরীর, বালিকার কানের স্বর্ণসূত্রের মত কোমল সোনালি
মনে পড়ল, এমনি জনস্রোত জমা হয়েছিল আজ সকালে মাঠে ময়দানে
ঈশ্বরকে প্রণাম জানাতে,
কারুণিকের ইচ্ছের সঙ্গে নিজের অভিলাষকে মেলাতে,
সেই চাঁদ ওরাও দেখেছিল কাল
সেই ইদের চাঁদকে আজ মাথায় ধরে রেখেছেন
স্বয়ং কেদারনাথ।





কোন মন্তব্য নেই: