“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২১ জুন, ২০১৯

যোগমায়া

।। অভীককুমার দে।।

এতদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেননি বা উঠতে পারেননি। বুঝি, ভোররাতের শিহরণের পর বুকের ছাদে শিশিরের ঘাম জমা মিষ্টি অনুভূতি। জানি, ঘুমের দেশে হারিয়ে গেলে জানালায় উঁকি দিয়ে ঘুম ভেঙেছে সূর্যসোনা।

এখন মাঝরাতেও ভীষণ গরম। মশাও বেড়েছে, কানের কাছে রাতভর বাইক চালিয়ে ঘুরে বেড়ায়। নির্ঘুম রাতের শেষে কাঙাল ভোর, ভদ্রাসনে বসে আছে পূবের ঘরের চাতালে।

শরীর কাঁপছে। শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। তবুও জীবনের জন্য একপায়ে গাছ হতে পারেন। এখন সকাল। এভাবেই দাঁড়িয়ে থাকুন, লাইনে। বন্ধ চোখের দরজায় হাজার সূর্য এসে চলে যাক। কেবলমাত্র কান সজাগ রাখুন এবং প্রতিশ্রুতির আসনে দাঁড়িয়েই চোখ বন্ধ রাখুন ঘুমন্ত মুদ্রায়। কিছুক্ষণ পরপর হাত পা ছুঁড়ে মারলেই আপনি জীবিত।

রোদ উঠে গেলে উঠে যাওয়া যাক। সামনে, আরও সামনে যে মানুষগুলো জটলা পাকিয়ে চেয়ে দেখছে সুস্বাস্থ্যের মুখ, তাদের শরীরে শক্তি নেই। যে অসুখে পরিবেশ পরিয়াবরণ, সে অসুখের জন্য হাতের মুঠো খোলা রাখুন।

আপনি গাছ। খোলা আকাশের নিচে। আকাশে মেঘ জমছে। বৃষ্টি হবে। আপনার নড়াচড়ার সুযোগ নেই। বজ্রাহত হবেন এবং শূন্য ধারণ করতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই: