“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৫ জুন, ২০১৯

প্রশ্নচিহ্ন

                   রফিক উদ্দিন লস্কর
যারাই গড়ে মানবসম্পদ তারাই আজ ড্রাইভার,
বিদ্রূপতায় সংযোজিত নতুন একটা  উপহার। 
যিনি চালান শিক্ষা বিভাগ তিনি দিলেন ফরমান,
শিক্ষকের ঐ সার্টিফিকেটটা লাইসেন্সের সমান।
ত্যাগের জাতি শিক্ষকরা আজ পদেপদে লাঞ্ছিত,
সর্ব কাজে এরাই প্রথম, কিন্তু ন্যায় থেকে বঞ্চিত। 
নিষ্ঠা নিয়ে একটা জাতি কাজ করে যায় দিনরাত,
দাবি দাওয়া করলে কিন্তু উঠতে পারে গায়ে হাত।
আজ মহান পেশার গুরুদায়িত্ব ওদের কাঁধে চাপা,
আছে মানসম্মানের প্রশ্নচিহ্ন বুঝলেন বাবু ক্ষ্যাপা।
বাবুমশাই, ঐ চওড়া মুখটায় একটু লাগাম লাগান
ছুড়বেন না আর বিষ হুংকার, এটা বড্ড বেমানান।
জীবন বাজি রেখেই যারা করছেন জাতির কল্যাণ,
হেয় ভাবছে বিভাগ আজি, করছে তাদের অসম্মান।
এমন করে যদি চলতে থাকে বিভাগীয় অপকার্য,
জেনে রাখুন শিক্ষাবিভাগে কিন্তু ধ্বংস অনিবার্য।

কোন মন্তব্য নেই: